মানুষ পৃথিবীতে নানাধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করে। কখনো প্রবল ঝড় কখনো বা মুষলধারে বৃষ্টি। তপ্ত রোদে আগুনময় বালির উপর দিয়ে হেঁটে যায় মানুষের জীবন চলার পথ। তবুও মানুষ এতো দুঃখ কষ্টেও বেঁচে থাকতে চায়। হৃদয়ের অপার শক্তিতে জোর পায়ে এগিয়ে যায়। আর এর নামই মানুষজাতি। মৃত্যু অনিবার্য জেনেও হেসেখেলে চলি। হাসতে হাসতে কষ্টকে বরণ করি। কারণ এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আলাদা একটা সুখ আছে, আনন্দ আছে।
মানুষ কখনোই নিজেকে একলা রাখতে চায় না। সর্বময় ভাবনায় থাকে আরো পাশে কিছু মানুষ থাকুক আপনজন। কিন্তু কাছের মানুষগুলোর থেকে অবহেলা পেতে পেতে একসময় পরিস্থিতি প্রেক্ষাপট ভিন্ন হয়ে যায়। মন মেজাজ হয় বিকারগ্রস্ত। সকালে সূর্য উঠলেও সূর্যের আভায় হৃদয় আর চনমন করে না। এক্ষেত্রে চরম সংকটেও ধৈর্যচ্যূতি ঘটালে চলবে না। মনে রাখতে হবে আকাশের মেঘ ভেদ করে সূর্য ফের আলো ছড়ায়। মনকে শক্ত রাখতে হবে। সংকট আসবে কিন্তু তার সমাধানও আছে। তা কেবল সময় ও সুযোগের অপেক্ষা করে। বিনয়ী আচার–আচরণ এবং চলাফেরায় সাদাসিধা নৈতিকতার যুক্তিগত বোধ তৈরি হলেই কেবল ধৈর্য ধারণ শিক্ষা লাভ করা সম্ভব। পরিস্থিতি যা–ই হোক তা স্বাভাবিক ভাবনা ও কাজ বলে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। সময়তো দ্রুত বদলায়। আজকে যা চরম সংকট আগামীকাল তা ঐ পর্যায়ে না ও থাকতে পারে। কান্না নয় বরং মেধা মননে শান্ত থাকতে হবে। আর কখনোই আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রেখে দিতে নেই। এতে সংকট তৈরি হয় বেশি। কথা বলার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। কথার কামান থেকে গুলি একবার বের হয়ে গেলে তা আর ফেরত যায় না। এসব অবুঝ কার্যক্রমগুলোর চর্চা আমাদের ব্যক্তিজীবন থেকে পরিহার করতে হবে তবেই চরম সংকট থেকে আমরা দ্রুত উত্তরণের পথ খুঁজে পাবো।