জীবনে এর চেয়ে বড় কিছু চাইতে পারতাম না

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ৬ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:২৭ পূর্বাহ্ণ

অলিম্পিকের দ্রুততম মানবের মুকুট জয়ের আনন্দে ভাসছেন যুক্তরাষ্ট্রের নোয়াহ লাইলস। তবে স্প্রিন্টের ঝড় আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে যুক্তরাষ্ট্রের এই স্প্রিন্টারের নাকি মনে হয়েছিল, তিনি নয়, সেরা হয়েছেন জ্যামাইকান কিশানে টমসন। স্তাদে দে ফ্রান্সের ট্র্যাকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে জমজমাট লড়াই হয়। লাইলস ও টমসন একই সময়ে লাইন পার হন, পরে ফটো ফিনিশিংয়ে জয়ী হন লাইলস। দুজনেই দৌড় শেষ করেন ৯ দশমিক ৭৯ সেকেন্ডে। ফটো ফিনিশিংয়ে দেখা যায় লাইলস লাইনে পা রাখেন ০ দশমিক ৭৮৪ এ। আর টমসন রাখেন ০ দশমিক ৭৮৯ এ। তাতে জ্যামাইকান অ্যাথলেটকে পেতে হয় রুপার স্বাদ। নোয়াহর স্বদেশি ফ্রেড কার্ল ৯ দশমিক ৮১ সেকেন্ড টাইমিং করে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ। প্রতিক্রিয়া দিতে এসে লাইলস ও টমসন দুজনেই বললেন, দৌড় শেষের পরের মুহূর্তে দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল। টমসন বলেন লাইলস বলল হেই কিশানে টমসন আমার মনে হয় তুমিই জিতেছ। আমি তখন বলি আমি নিশ্চিত নই। লাইলসও বললেন একই কথা।প্র্রথমবারের মতো অলিম্পিকে সোনা জয়ের উচ্ছ্বাস নিয়ে বললেন, জীবনে এর চেয়ে বড় মুহূর্ত চাইতে পারতেন না তিনি। আমি কিশানের কাছে গিয়ে বলি আমার মনে হচ্ছে তুমি জিতছো। আমি পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম যে, টমসনের নাম ভেসে উঠবে। কিন্তু আমার নাম ভেসে উঠতে দেখে বললাম সৃষ্টিকর্তা পরম করুণাময় আমি অবিশ্বাস্য দৌড় দিয়েছি। এর চেয়ে বড় মুহূর্তে চাইতে পারি না। প্রতিটি রাউন্ড ধরে আমি দৌড়েছি এবং প্রথম রাউন্ডের টাইমিং নিয়ে কিছুটা হতাশ ছিলাম। পরে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ফিরলাম সেমিফাইনালে ৯ দশমিক ৮৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড়ালাম। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বাজিমাত করেই থেমে যেতে চান না লাইলস। সমর্থকদের আরও দারুণ সব মুহূর্ত উপহার দেওয়ার প্রত্যয় জানালেন। আমি আশা করি, তোমরা লাইলসকে ভালোবাসবে। কেননা আরও অনেক কিছু উপহার দিতে যাচ্ছি আমি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাঁতারে আধিপত্য ধরে রাখল যুক্তরাষ্ট্র
পরবর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা