প্রতিষ্ঠা হলো মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। যখন মানুষ ধন অর্জন করে ঐশ্বর্য লাভ করে, জীবন যাপনের সব কিছু ক্রয় করতে পারে তখন সে প্রতিষ্ঠিত। মানুষ তখন এই প্রতিষ্ঠাকেই তার অস্তিত্ব বলে মনে করে।
মাঝে মাঝে মানুষ এই প্রতিষ্ঠাকে ধরে রাখতে গিয়ে চরিত্রকে বাজি রাখতে প্রস্তুত হয়ে যান। তখন মানুষ ভুলে যান চরিত্র নষ্ট হলে বা নাশ হলে নিজের জীবন পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠা একবার হারালেও পুনরায় পরিশ্রম করে সফলতা লাভ করা সম্ভম কিন্তু চরিত্রের নাশ হলে তা আর পুনরায় ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
পরিশ্রম, সততা দিয়ে অনেক কিছু জয় করা সম্ভব। একবার কারো কাছে খারাপ প্রমাণিত হলে পুনরায় ভালো প্রমাণিত হওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না।
মানুষ দুঃখ,কষ্ট, খারাপ আচরণ এগুলো মনে রাখে বেশি। ভালো কাজ, সুখের সময়, অধিক আনন্দ পাওয়া এগুলো দ্রুত ভুলে যায়।
তাই প্রতিষ্ঠা লাভ করার জন্য কখনো নিজেকে বিসর্জন দেয়া বা খারাপ কাজে পা ফেলা উচিত নয়।
সৎকর্মের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেলে প্রতিষ্ঠা লাভ করা সহজ ও সুন্দর হয়। কখনো ভালো সময় কখনো খারাপ সময় আসবেই। এটাই বিধাতার নিয়ম। কারো ঘর পুড়ে কারো নতুন ঘর তৈরি হয়।কেউ কাঁদে, আবার তখন অন্য দিকে কেউ হাসে এটাই বাস্তবতা। তাই সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করা প্রয়োজন। ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠা, সম্মান, সম্পত্তি কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এগুলো ধরে রাখতে গিয়ে নিজের চরিত্রকে যেন বিসর্জন দিতে না হয়। সময়ই সব সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।
জীবন সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য যেন জীবন পরিচালিত না হয়। সম্মান লাভের জন্য সৎকর্ম, সম্মান ধরে রাখার জন্য যেন সততা বিসর্জন দিতে না হয়।