অন্যের সমালোচনার অরণ্যে ঘুরপাক খেয়ে হয়রান না হয়ে,আসল বস্তুর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা বুদ্ধিমানের কাজ। তা হলেই আমরা ধন্য হব – আমাদের ভেতরের শক্তি – অর্থাৎ কল্পনা, অনুভূতি,সৌন্দর্য্যবোধ ও চিন্তাশক্তি মূর্ত হবে।
যখনই আমরা কোনো সুন্দর, উদার, মানবিক, আলোকময় জীবনের, বিষয়ের আলোচনা যত বেশী করব, ততই আমাদের কল্যাণ, ততই জীবনের ক্লেদ ও গ্লানি দূরীভূত হওয়ার সম্ভাবনা।
অন্যথা সব বিফলে যাবে,মানুষ হিসেবে মানব জীবনের সার্থকতা অমানিশায় পর্যবসিত হবে। শুধু যথার্থ কথাই সত্য কথা নয়,যদি তা মানুষের বর্দ্ধনায় হিতে না আসে। সত্তার সম্বর্দ্ধক যা,সত্তাকে যা পরিপোষণ করে তাই সত্য। আর এই সত্যই আমাদের মঙ্গল ও কল্যানের হিতকর। ধাপ্পাবাজ, ধর্মান্ধরা নিয়ত আমাদের ঠকাচ্ছে বহুমুখিতায়। তা থেকে উত্তরণের প্রধানতম উপায় বিষয়ের গভীরে নিবিষ্ট হওয়া,সম্যকভাবে তার উপলব্ধি করা।এক্ষেত্রে ধর্ম ব্যবসায়ীরা তা’দের বহুরূপী চেহারায় বিভ্রান্ত করবে রঙিনতায় আচ্ছন্ন করে রাখবে স্বরূপ উদ্ঘাটনে। এদের লক্ষ্য কিন্তু মানুষের বিবর্দ্ধনে নয়, নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের দুর্দমনীয় প্রচেষ্টা। পৃথিবীতে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তা’দের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে তার অধিকাংশ ধর্ম দ্বারা সংঘটিত। অন্তর্নিহিত মঙ্গলকে উদ্ঘাটনপূর্ব্বক জন ও জাতির উৎকর্ষ সাধনে যথাসম্ভব বিরোধ সৃষ্টি না করে সহনশীলতা, সহযোগিতা, সহভাগিতায় হোক পথ চলা।এটাই হবে মানুষ হিসেবে জন্মের সার্থকতা।এবং মান-হুঁশ হবার আনন্দ। জীবন হবে নান্দনিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি।