তাকে দেখি, ভোরে ঘুম থেকে জেগে
যখন বুঝতে পারি, আরও একটি রাত
কাফন ও কর্পূরের গন্ধবিহীন কাটাতে পেরেছি
মসজিদের মাইক থেকে আসছে না ভেসে আজ
‘একটি শোক সংবাদ, আপনি যান,
আমরাও আসছি আপনার পেছনে পেছনে’
বারান্দায় বেলীগন্ধ, ইসকন মন্দিরের চূড়ায় সূর্যের সোনালি সম্ভাষণ
সকালের ‘আজাদী’তে মৃত্যুসংখ্যার ওঠানামা পড়ে
তাকাই দেয়ালে, উদ্ভাসিত রক্তের উত্তরাধিকার
দিগবিজয়ী হাসিতে চোখ নাড়ে আর বলে,
‘জীবন আনন্দের, দিনে তিনটা ডিম খেলেও
বাড়ে না কোলেস্টেরল, হাঁটো, দৌড়াও
ব্যায়াম করো শ্বাসের প্রত্যহ,
চোখে চোখ রেখে এতো আদেশ মারে
প্রতিভা সিং এর গজলে ডুব মেরে জোরে শ্বাস নিই।
জীবন সৌরভের, যতো কটুগন্ধ, জীবানু ও শঙ্কার
তুড়ি মেরে ওদের উড়িয়ে ভাবি,
কার্তিকের শেষে আসছে পৌষ
টনসিলের প্রদাহ ও কফজমা বুক নিয়ে
একবার উড়ে যাবো মানচিত্রের অন্যপ্রান্তে
থথ২০ তাপমাত্রায়, যেখানে আমার রক্ত
কেবল উষ্ণতা, অবিচ্ছেদ ও সম্ভাবনা নিয়ে বলে,
‘জীবন আনন্দের’।