জি-৩ রাইফেল ও গুলিসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

আরসার সাথে বন্দুকযুদ্ধে এপিবিএন সদস্য গুলিবিদ্ধ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ১৫ জুলাই, ২০২৪ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অভিযান চালিয়ে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি জি৩ রাইফেল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এম/৩৫ ব্লকে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ ইলিয়াস ১১ নম্বর ক্যাম্পের এ/১৫ সাব ব্লকের বাসিন্দা হাসান আহমেদের ছেলে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান যুদ্ধ ফেরত সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস অবস্থান করছে খবর পায় এপিবিএন। এ খবরের ভিত্তিতে ২০ নম্বর ক্যাম্পের এম/৩৫ ব্লকের সাব মাঝি নূর আলমের চায়ের দোকান সংলগ্ন বাঁশের ব্রিজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে, উখিয়ার ৪এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশের সাথে আরসা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক এপিবিএন সদস্য গুলিবিদ্ধ। গতকাল রোববার ভোরে উখিয়া উপজেলার মধুরছড়া ৪এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফব্লকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মো. শাহরাজ (২৫) এপিবিএনের মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পে কনস্টেবল পদে কর্মরত।

অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, রোববার (গতকাল) ভোরে উখিয়ার মধুরছড়া ৪এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফব্লকে এপিবিএন পুলিশের ৯ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। এক পর্যায়ে ক্যাম্পের কাঁটাতারের সীমানার বাহির থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য প্রবেশ করে অতর্কিত এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে মো. শাহরাজ নামে এপিবিএন পুলিশের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। এতে তার ডান উরু ও ডান হাতের আঙ্গুলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

এডিআইজি বলেন, গোলাগুলি থেমে গেলে গুলিবিদ্ধ এপিবিএন সদস্যকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান মোহাম্মদ ইকবাল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন দুইভাই, চলতেন দামি গাড়িতে
পরবর্তী নিবন্ধকিশোরীকে ধর্ষণ যুবকের যাবজ্জীবন