জি কে শামীমের দুর্নীতি তদন্তে চবিতে দুদকের টিম

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নতুন ভবন নির্মাণে আলোচিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে আসে।
জানা যায়, চবির কলা অনুষদের দ্বিতীয় ভবনের দ্বিতীয় ধাপের কাজের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএলকে অর্থাৎ জি কে শামীমকে ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর চুক্তি হয়। দরপত্রের সঙ্গে শর্তানুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠান আগের পাঁচ বছরে কমপক্ষে একটি ৩৫ কোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে সমাপ্তির সনদপত্র জমা দেয়। আগের পাঁচ বছরে গড়ে কমপক্ষে ৪১ কোটি টাকার টার্নওভার এবং ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার লিকুইড অ্যাসেট সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেওয়া হয়।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অযোগ্যতা ও অদক্ষতার সুযোগে অতি সুক্ষ্ম তথ্যগত জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে ওই কার্যাদেশ হাসিল করে নেন। পরে গত বছরের ২২ নভেম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে চবির ভবনের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি নেওয়ার অভিযোগে জি কে শামীমসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চবির ভবন নির্মাণের ৭৫ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় আদালত। অধিকতর তদন্তের জন্য আজও আমাদের একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছেন। অনুসন্ধান এখনো চলমান রয়েছে।
দুদকের অভিযোগ, জি কে শামীম ও ফজলুল করিম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানির প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সাথে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম সংযুক্ত করে নিবন্ধনের সনদ জমা দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো চুক্তির কাগজপত্র জমা দেননি। এছাড়া নিবন্ধিত প্রকৃত শেয়ার সংখ্যার চেয়ে বেশি শেয়ার দেখানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনীল রঙে নতুন স্বপ্ন
পরবর্তী নিবন্ধধূমপানমুক্ত সেন্টমার্টিন চায় সংসদীয় কমিটি