জিয়া যাদুঘরের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই : মন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

জিয়া স্মৃতি যাদুঘরটি সরিয়ে চট্টগ্রামের জন্য মানসম্পন্ন একটি বড় যাদুঘর তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে যে স্মৃতি যাদুঘর আছে, তার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, কারা স্মৃতি যাদুঘর করেছে, কী প্রেক্ষাপটে করেছে সেটা মহান সংসদে আলোচনা হয়েছে। সংসদ সদস্যরা সবাই সোচ্চার ছিলেন। বিশেষ করে তিনবারের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যিনি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন, তিনিও বলেছেন। উনার কিছু প্রস্তাবনাও আছে। যেহেতু সার্কিট হাউজ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। কোন কর্তৃপক্ষ এটা করেছে, তার বৈধ কোনো কাগজপত্র আমরা দেখি নাই। কিভাবে হয়েছে জানি না। আমরা চেষ্টা করেছি কাগজপত্র পাওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চট্টগ্রামের সম্পত্তি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট স্থাপন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিভিন্ন কলকারখানা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের জন্য বিশেষত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে মোস্তাক-জিয়া চক্র গৃহীত কল কারখানাসমূহ পানির দামে বিক্রি করেছেন। মূল্যবান সম্পদ বেহাত হয়ে যায়। এখনও উল্লেখযোগ্য সম্পদ ট্রাস্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আছে, যার মধ্যে রয়েছে জয় বাংলা ভবন, টাওয়ার একাত্তর এবং কালুরঘাট স্থাপনা কেন্দ্র। চট্টগ্রামের পাহাড়ি জায়গায় ছোট ছোট স্থাপনা করে কিছু দখলের চেষ্টা করেছে। উদ্ধার ও ব্যবস্থাপনার জন্য সবার সহযোগিতা চাই।
মতবিনিময় সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাংসদ শাজাহান খান এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ফরিদা খানম সাকী ও নাহিদ ইজহার খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খাজা মিয়া, ট্রাস্টের এমডি এস এম মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায়
পরবর্তী নিবন্ধ১ নভেম্বর থেকে কিশোর শিক্ষার্থীদের টিকাদান