জিয়ার রাজনীতির পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাব

নগর বিএনপির আলোচনা সভায় নোমান

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩১ মে, ২০২৩ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, স্বাধীন রাষ্ট্র আজ পরাধীন হয়ে গেছে। স্বাধীনতার যে স্বাদ, সেটা এদেশের মানুষ পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে গেছে, মানবাধিকার নেই। এদেশের মানুষ আবার মুক্তি চায়। মানুষ আবার লড়াই করতে চায়, যে লড়াইয়ের মাধ্যমে একাত্তরে জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এবং সেই জাতীয় রাষ্ট্রের যে উপাদানগুলো ছিল, সেগুলো যাতে আবার নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য দেশের মানুষ লড়তে চাই। জিয়াউর রহমানের রাজনীতির পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।

দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল নগরের কাজীর দেউড়িস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, জিয়াউর রহমান যদি আমাদের লড়াইয়ের পথ না দেখাতেন, তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। আর আমি রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে পাকিস্তানের জেলখানায় থাকতাম। জিয়াউর রহমান লড়াইয়ের মাধ্যমে একটি জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরা স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পেয়েছি।

মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনীতি ছিল এদেশের মানুষের জন্য। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।

ডা. শাহাদাত বলেন, আওয়ামী লীগের অনেকেই ১১ নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডারের দাবি করেন। কিন্তু গুগলে ১১ নং সেক্টর কমান্ডারের নাম সার্চ করলেই শহীদ জিয়াাউর রহমানের নাম ভেসে আসে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতো।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখে কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. ছিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, একরামুল করিম, এম এ সবুর, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, অ্যাড এনামুল হক, অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, অ্যাড মফিজুল হক ভূঁইয়া, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের হাসান আরিফ। উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মোহাম্মদ শাহেদ, এইচ এম রাশেদ খান, মনোয়ারা বেগম মনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছেলের লাঠির আঘাতে দিনমজুরের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধচিরসবুজ বনে মালয়ী নিশিবক