রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা জিল্লুর রহমান ভান্ডারীর খুনিদের ফাঁসির রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী। গত রোববার বিকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সাহেবনগর এলাকায় জিল্লুর রহমানের কবর জেয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। হুম্মাম কাদের বলেন, গত ১৬ বছরে রাঙ্গুনিয়ায় অনেকে এলাকায় থাকতে পারেনি। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। তাদের কবর জেয়ারত করাও আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। এখন এই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি। আশা করছি, এভাবে নিহত সবার কবরে আমরা যাবো শ্রদ্ধা জানাবো।
এলাকার সাধারণ জনসাধারণ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দরা বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান ভান্ডারীর খুনীদের ফাঁসির রায় অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ ছাড়াও পুরো উপজেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দ সাথে ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে জিল্লুর ভান্ডারিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। পাশাপাশি ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, মো. খোকন ও মো. ইসমাইল প্রকাশ পিস্তল ইসমাইল। যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি হলেন মো. আবু, মো. কামাল, মো. জসিম, মো. তোতা মিয়া, মো. নাসির ও মো. সুমন প্রকাশ সিএনজি সুমন।