গাজা সিটিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল ও হামাস একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যার মাধ্যমে গাজায় বন্দি হয়ে থাকা কিছু জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত হবে বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস পক্ষ দু’টি একটি চুক্তির কাছাকাছি আছে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কারবি জিম্মি নিয়ে সমঝোতার বিষয়ে বলেছেন, আমরা আগে যেখানে ছিলাম তার চেয়ে কাছাকাছি আছি। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের যোদ্ধাদের নজিরবিহীন প্রাণঘাতী আক্রমণে ১২০০ জন নিহত হয়। এ আক্রমণ চলাকালে প্রায় ২৪০ জনকে ইসরায়েল থেকে ধরে এনে গাজায় বন্দি করে রেখেছে হামাস। কিন্তু ওই দিন থেকেই গাজায় ভয়াবহ পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। খবর বিডিনিউজের।
ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা তাদের অবিরাম হামলায় গাজায় ১৩৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫৬০০ শিশু ও ৩৫৫০ নারী রয়েছে। জেনিভা–ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংগঠনটির সভাপতি মিরজানা স্পোজারিক সোমবার কাতারে গাজার সংঘাত সম্পর্কিত মানবিক ইস্যু নিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি পৃথকভাবে কাতারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে আলোচনার কোনো অংশ নয়, কিন্তু নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পক্ষগুলোর সম্মত হলে যে কোনো ভবিষ্যৎ মুক্তি সহজতর করতে প্রস্তুত তারা। কয়েকদিন ধরেই আসন্ন জিম্মি চুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা ঘূরপাক খাচ্ছে। এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছিল, তিন দিনের এক অস্ত্রবিরতির বিনিময়ে ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তির চেষ্টা করেছিল। রোববার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত মাইকেল হারজগ এবিসি নিউজের দিস উইক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একটি চুক্তি হবে বলে আশা করছেন তিনি।