অনেকটা সৌভাগ্য বশত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে জায়গা করে নিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু এই পর্বে এসে আর খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তবে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল নেদারল্যান্ডস। তাও টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের মত দলকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। গতকাল অ্যাডিলেইডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ৫ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। তাদের দেওয়া ১১৮ রানের টার্গেট ১২ বল বাকি থাকতে অতিক্রম করে ফেলে নেদারল্যান্ডস।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের শুরুটা হয় বেশ বাজে। পাওয়ার প্লেতে ২০ রান তুলতে জিম্বাবুয়ে হারায় ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে পল ফন মেকেরেনের বলে ওয়েসলি মাধেভেরে হন বোল্ড। ব্র্যান্ডন গ্লভার পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন ক্রেইগ আরভিন ও রেজিস চাকাভাকে। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক আরভিন হন কট বিহাইন্ড। চাকাভা হন এলবিডব্লিউ। বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন উলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা। দুজন যোগ করেন ৪৮ রান। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ফিরেন সিকান্দার রাজা। তবে ফিরে আসার আগে রাজা তিনটি করে চার ও ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ৪০ রান করে আসেন। এরপর আর বেশিদূর এগোয়নি জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ১৯ রানে হারায় তারা শেষ ৪ উইকেট। আর তাতে ১১৭ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ফন মেকেরেন।
১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিলেন ওপেনার স্টেফান মাইবার্গ। কিন্তু তিনি টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। চতুর্থ ওভারে ফিরেন এই ওপেনার। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ও’ডাওড ও টম কুপার। দুজন মিলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। এই দুইজনের জুটিতেই মনে হচ্ছিল জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে নেদারল্যান্ডস। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ও’ডাওড। তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের একাদশ হাফ সেঞ্চুরি। ৩০ বলে যখন ৯ রান দরকার নেদারল্যান্ডসের তখন ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ও’ডাওড। পরে ২৪ বলে ৩ রানের সমীকরণ মেলাতে ১২ বল খেলে ডাচরা। মাঝে পড়ে একটি উইকেটও। আরেকটিও হারাতে পারত তারা। অল্পের জন্য স্টাম্পিং থেকে বেঁচে যান ডে লেডে। ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে নেদারল্যান্ডস। ডে লেডে অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছেন নেদার্যলান্ডেসের মাক্স ও’ডাওড।