ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। দক্ষিণ আফ্রিকার পর তারা হারালো স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে যুবদলকে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১২৮ রানে গুটিয়ে দিয়েও হারাতে ঘাম ঝরেছিল বাংলাদেশের যুবাদের। ১ উইকেটে জয় পেয়েছিল তারা। তবে এবার জিম্বাবুয়েকে অনেকটা হেসেখেলেই হারালো যুবারা। হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন বাংলাদেশ তালিকার শীর্ষে। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৭৪ রান তোলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। জবাবে ১৮৩ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের যুবাদের ইনিংস। তবে ২৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অনেকটা সময় বাংলাদেশকে ভয়ে রেখেছিল জিম্বাবুয়ে। নাথানিয়েল হ্লাবানগানার ফিফটিতে ভর করে একপর্যায়ে ২ উইকেটেই ১০২ রান তুলে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। ৫৩ রান করা হ্লাবানগানাকে বোল্ড করেন স্বাধীন ইসলাম। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট তুলে নিতে থাকে। ১৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে আর পেরে উঠেনি। ৪২.২ ওভারে অলআউট হয় ১৮৩ রানে। বাঁহাতি স্পিনার সামিউন বশির মাত্র ১৪ রান দিয়ে শিকার করেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট আল ফাহাদ আর আজিজুল হাকিমের। এর আগে ওপেনার জাওয়াদ আবরার আর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৮ উইকেটে ২৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন জাওয়াদ। ৬৩ বলে ১২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করেন ৮২। আরেক ওপেনার রিফাত বাগের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৩১। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম করেন ৪৯ বলে ৩৪। ৩ উইকেটে ১৭৫ করার সময় একটা সময় হুট করে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশও। ৫ রানের মধ্যে হারায় আরও ৩ উইকেট। তবে উইকেটরক্ষক আবদুল্লাহ দায়িত্ব নিয়ে খেলে দলকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দিয়েছেন। ৬৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় অপরাজিত ৫৬ করে আবদুল্লাহ। তাকে সঙ্গ দিয়ে আট নম্বর ব্যাটার দেবাশীষ দেবা করেন ৩৬ বলে গুরুত্বপূর্ণ ২৪।