জিন তাড়ানোর চিকিৎসার কথা বলে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেছে মো. আশিকুল ইসলাম (৩৪) নামে এক মুয়াজ্জিন। নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর বাবা এবং স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় নিপীড়ক আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আশিকুল বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের ১ নংওয়ার্ডের মো. হাবিবুল আলমের ছেলে। নগরীর সদরঘাট দারোগারহাট রোড হাজী নসু মালুম মসজিদে কর্মরত ছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, সদরঘাটের দারোগারহাট রোড এলাকার ১৬ বছর বয়সী ওই ছাত্রী গত তিন মাস যাবত অসুস্থ ছিল। চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় এক ব্যক্তির পরামর্শে ছাত্রীটির বাবা মুয়াজ্জিন মো.আশিকুল ইসলামের কাছে যান। ছাত্রীকে দেখেই মুয়াজ্জিন জানান, তার ওপর জিন ভর করেছে। দ্রুত চিকিৎসা না করলে তিনদিনের মধ্যে মৃত্যু হবে। চিকিৎসার জন্য তিনি ২১ হাজার টাকা দাবি করেন। ছাত্রীর বাবা ১০ হাজার টাকা দেন। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই ছাত্রীর বাসায় দরজা জানালা বন্ধ করে ঝাঁড়–ফুকের চিকিৎসার নামে আশিকুল ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করে। নিপীড়নের বিষয়টি বুঝতে পেরে ছাত্রীর বাবা স্থানীয়দের সহায়তায় আশিকুল ইসলামকে আটকে রেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় মামলা হয়েছে।