চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব ও চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, জিনাত আজম ছিলেন সমাজমনস্ক দক্ষ সংগঠক ও সাহিত্যিক। তাঁর অসামান্য নেতৃত্ব ও পরিশ্রমে চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব অনন্য এক প্রতিষ্ঠানে পরিণত। চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। সদা হাস্যোজ্জ্বল এ মনীষী ছিলেন সাদা মনের মানুষ। আপাদমস্তক একজন মানবিক মানুষ। তিনি অতুলনীয় একজন মহীয়সী নারী হিসেবে মানবসমাজের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব এবং চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘে তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি সমাজকে, মানুষকে, জাতিকে অকাতরে দান করে গেছেন। তিনি উত্তর প্রজন্মকে মানবসেবা, সাহিত্যচর্চাসহ ধর্মকর্ম পালনে উৎসাহিত করে গেছেন। তিনি সবার কাছে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় আইকন হিসেবে চিরঞ্জীব থাকবেন। লেখক হিসেবেও তিনি তাঁর প্রতিভদীপ্ত সাহিত্যগুণে সমধিক পরিচিত। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলোও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী। তাঁর গুণাবলি ধারণ করতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
গতকাল বুধবার স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘের উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ–সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম। চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ স্মরণসভায় স্মৃতিচারণে ও আলোচনায় অংশ নেন লেডিস ক্লাবের উপদেষ্টা ড. জয়নাব বেগম, সভানেত্রী খালেদা আউয়াল, শিক্ষাবিদ–সাহিত্যিক তহুরীন সবুর ডালিয়া, কথাসাহিত্যিক এলিজাবেথ আরিফা মুবাশ্শিরা, শিশুসাহিত্যিক–সাংবাদিক রাশেদ রউফ, লেডিস ক্লাবের সহসভানেত্রী পারভিন জালাল, সাবিহা মুসা, পারভিন চৌধুরী, জিনাত আজমের ছোট বোন নার্গিস সুলতানা, পুত্র আতিক উল আজম খান, ভগ্নিপতি কবি সৈয়দ মুসতাফা মুনীরুদ্দীন, বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু, চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘের সম্পাদিকা সৈয়দা সেলিমা আক্তার, অধ্যাপিকা আলেয়া চৌধুরী, নারীকণ্ঠ সম্পাদক শাহরিয়ার ফারজানা প্রমুখ।
স্মরণসভা সঞ্চালন করেন লেডিস ক্লাবের সদস্যা কবি মর্জিনা আখতার। সূচনা বক্তব্য দেন লেডিস ক্লাবের সম্পাদিকা বোরহানা কবির। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস সুইটি। মরমী সংগীত পরিবেশন করেন লেখিকা সংঘের সদস্যা কোহিনুর শাকি। সভায় জিনাত আজম ও বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় জিনাত আজমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মো. আবদুল আউয়াল, মিনু আলম, সৈয়দা শামীম কাদের সুরমা, খালেদা আক্তার চৌধুরী, আফরোজা বুলবুল তাহের, আশরাফুন্নেসা, গুলশানা আলী, কামরুন জাহান আহমেদ, সেলিনা আক্তার, অধ্যাপক আয়েশা পারভীন চৌধুরী, মরিয়ম বেগম মিনা, নাজমা সাইদা বেগম, মনোয়ারা আলম, ফেরদৌসী আরা বেগম, রাহেলা বেগম, সালেহা বেগম, রোকেয়া জামান, আজিজ রাহমান, লায়লা বেগম, সকিনা বেগম চৌধুরী, রোকেয়া আহমেদ, নাছিমা শওকত, এম কামাল উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মেহেরাজ মাহমুদ, রোকসানা বন্যা প্রমুখ। শেষে জিনাত আজমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ও দেশ–জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বেগম রুনু সিদ্দিকী কন্যা গুলেরানা সিদ্দিকী (শবনম)। স্মরণসভায় জিনাত আজমের জীবন–কর্ম নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।