জিতেও আফ্রিকার বিদায়, সেমিতে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ৭ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট বরে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ করে। তবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ইংল্যান্ডকে ১৩১ বা তার কমে আটকে রাখাতে হতো। কিন্তু তা আর সম্ভব হলো না।
প্রোটিয়ারা ১০ রানে জিতলেও সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ওয়ান থেকে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া শেষ চারে জায়গা করে নিল। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের গ্রুপে সেরা ইংল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে ৮৭ রানের সময়ই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় মরগানের দলের। ৫ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের রানার্সআপ দল হিসেবে শেষ চারে উঠল অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা রান রেটে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিল বিশ্বকাপ থেকে।
এর আগে ক্যারিবীয়দের ৮ উইকেটে উড়িয়ে সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখে অস্ট্রেলিয়া। ২২ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে রানরেটটাও বেশ বাড়িয়ে নেয় অ্যারন ফিঞ্চের দল। লক্ষ্য ছিল ১৫৮ রানের। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাথায় বোধ হয় শুধু রানরেটের হিসেব-নিকেশই চলছিল। তাড়াহুড়ো করে ম্যাচ শেষ করলেন অসি ব্যাটাররা, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একদমই পাত্তা দিলেন না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সুবিধা করতে পারেননি। ৯ রান করে আকিল হোসেনের বলে বোল্ড হন অসি দলপতি। তবে এরপর আর পাত্তা পায়নি ক্যারিবীয়রা। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৫ বলে ১২৪ রানের জুটিতে ম্যাচটা বের করে নিয়ে আসেন মিচেল মার্শ আর ডেভিড ওয়ার্নার। জয় থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে ক্রিস গেইলকে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅফে ক্যাচ হন মার্শ। ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ডানহাতি এই ব্যাটার করেন ৫৩ রান। ৫৬ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় ৮৯ রান করে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন ওয়ার্নার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৫ উইকেটে ৯৯। সেখান থেকে শেষ ৫ ওভারে কাইরন পোলার্ড আর আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় ক্যারিবীয়রা। শুরুটা ঝড়োগতিতে করলেও একটা সময় ৩৫ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯১ রানে হারায় ৫ উইকেট। তবে পোলার্ড দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন। ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৪৪ রান করে ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে আউট হন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। মিচেল স্টার্কের করা ওই ওভারে শেষ দুই বলে দুই ছয় হাঁকান আন্দ্রে রাসেল। যার মধ্যে একটি আবার ছিল টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ছক্কা, ১১১ মিটার। ৭ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল। ওপেনিংয়ে নেমে ক্রিস গেইল ঝড়ো সূচনা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এভিন লুইসের সঙ্গে ১৪ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তিনি। ৯ বলে ২ ছক্কায় গেইল করেন ১৫। এভিন লুইসের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ২৯। মাঝে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন নিকোলাস পুরান (৪), রস্টন চেজ (০)। সিমরন হেটমায়ারের ২৮ বলে ২৭ রানের ইনিংসটাও ঠিক টি-টোয়েন্টিসুলভ ছিল না। তবে শেষদিকে পুষিয়ে দিয়েছেন পোলার্ড-রাসেল। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল জস হ্যাজলেউড। ৩৯ রান খরচ করলেও ৪টি উইকেট শিকার করেন এই পেসার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রিস গেইল কি শেষ ইনিংস খেলে ফেললেন?
পরবর্তী নিবন্ধপুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন মান্নান, নারী বিভাগে ফাতেমা