জিতেও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব বেশ জমে উঠেছে। বিশেষ করে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইটা। এরই মধ্যে কেবল নিউজিল্যান্ডই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। গতকাল নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি গত আসরের চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া । গ্রুপ ১ এর অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৫ ম্যাচে সমান ৭। তবে রান রেটে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের নেট রান রেট +২.১১। আর অস্ট্রেলিয়ার নেট রান রেট -০.১৭। অপরদিকে এক ম্যাচ কম খেলা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৪ ম্যাচে ৫। তাদের নেট রান রেট ০.৫৪৭। গতকাল অস্ট্রেলিয়া জয় পাওয়ায় বিদায় হয়ে গেছে শ্রীলংকা। কারন ৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। কাজেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজ শেষ ম্যাচে জিতলেও কোন লাভ নেই শ্রীলংকার। তবে আজকের ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। তাই এখন মনে প্রানে শ্রীলংকার জয় প্রার্থনা করবে অস্ট্রেলিয়া। গতকাল অবশ্য আফগানিস্তানকে হারাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। হারতে হারতে মাত্র ৪ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আফগানরা তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ারও সুযোগ ছিল রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার। কিন্তু তারা সেটাকে কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে এখন বিদায় নেওয়ার শংকায় থাকতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও টিম ডেভিডকে পায়নি অস্ট্রেলিয়া। বাইরে রাখা হয় মিচেল স্টার্ককে। তাদের জায়গায় সুযোগ পান ক্যামেরন গ্রিন, স্টিভেন স্মিথ ও কেন রিচার্ডসন। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া শুরুটা ভাল করতে পারেনি। ২২ রানে ক্যামেরন গ্রিনকে হারায় স্বাগতিকরা। ৩ রান করেন এই ওপেনার। ডেভিড ওয়ার্নারও টানতে পারেননি দলকে। ফিরেছেন ১৮ বলে ২৫ রান করে। এক ওভার পরে স্মিথ ফিরেছেন ৪ রান করে। মার্শ এবং স্টয়নিসের জুটিটা ৩৪ রানের বেশি হতে পারেনি। ৩০ বলে ৪৫ রান করা মার্শকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন মুজিব উর রহমান। স্টয়নিসকে নিয়ে ৫৩ রান যোগ করেন মেঙওয়েল। ২১ বলে ২৫ রান করে স্টয়নিস ফিরলেও মেক্সওয়েলকে ফেরাতে পারেনি আফগান বোলাররা। ৩২ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর তাতে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ১৬৮ রানে। আফগানদের পক্ষে সফল বোলার নাভিন উল হক নিয়েছেন ২১ রানে ৩ উইকেট। ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওসমান গনিকে হারায় আফগানিস্তান। রহমানুল্লাহ এবং ইব্রাহিম জাদরান মিলে যোগ করেন ২৫ রান। ১৭ বলে ৩০ রান করে ফিরেন রহমানুল্লাহ। গুলবাদিন নাইবকে নিয়ে ৫৯ রান যোগ করেন ইব্রাহিম জাদরান। একই ওভারে ফিরেন ইব্রাহিম এবং গুলবাদিন। যথাক্রমে ২৬ এবং ৩৯ রান করেন দুজন। শেষ দিকে গিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন রশিদ খান। এক পর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন এই স্পিনার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেননি তিনি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে। শেষ ওভারে আফগানদের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। স্টয়নিসের প্রথম ডেলিভারি ওয়াইড হলেও নন স্ট্রাইকার প্রান্তে রান আউট হয়ে যান দারবিশ রাসুলি। ওভারের প্রথম তিন বলের একটিতে চার মারলেও দুটি ডট খেলেন রশিদ। এরপর তৃতীয় বলে মারেন ছক্কা। ২ বলে দরকার যখন ১১ তখন অবিশ্বাস্য কিছু আর করে দেখাতে পারেননি রশিদ খান । শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানে থামে আফগানরা। রশিদ খার অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৪৮ রান করে। যেখানে তিনি ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কা মারেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কক্সবাজারের কাছে হেরে বিদায় চট্টগ্রামের
পরবর্তী নিবন্ধসিসিএল বারকোড স্নুকার বিলিয়ার্ড এন্ড পুল টুর্নামেন্ট শুরু