জিআই হিসেবে অনুমোদন পেল আরো ৩ পণ্য

বাংলাদেশে জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টি

| শুক্রবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে আরো ৩টি পণ্যকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথাএ তিনটিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টি।

এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজরের আগর, মুক্তগাছার মন্ডা ও মৌলভীবাজারের আগর আতর এ ৪টিকে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশিত হয়। খবর বাসসের।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) ২০০৩ সাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে একে পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) নামে অভিহিত করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন২০১৩ পাস হয়। এর দু’বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে জামদানি শাড়ীকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরো ২০টি পণ্য। সেগুলো হলো বাংলাদেশ ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, বাংলাদেশ কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীচাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই ও কুষ্টিয়ার তিলের খাজা। এদিকে, সম্প্রতি অনুমোদিত ৩টি পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ী, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার অনুমোদনের কপি ও জার্নাল গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিজিএমইএর নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদকে বিজয়ী করার আহ্বান
পরবর্তী নিবন্ধচুয়েটের প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ