বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের পক্ষে দেওয়া হাই কোর্টের রায় স্থগিত হয়ে গেছে। ওই পদের আরেক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। হাই কোর্টের রায় স্থগিত করে নিপুণের আবেদনটি ৪ এপ্রিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা ও মুজিবুল হক ভুইয়া। শুনানি শেষে নিপুণের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, আমরা আপিল বিভাগে সিএমপি ফাইল করেছি যে, যতদিন পর্যন্ত হাই কোর্টের রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়া না যায়, যতদিন পর্যন্ত আমরা পূর্ণাঙ্গ ফাইল না করছি, ততদিন পর্যন্ত হাই কোর্টের আদেশটার কার্যকারিতা যেন না থাকে।
আমাদের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ হাই কোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, চেম্বার আদালত হাই কোর্টের রায় স্থগিত করেছেন। আগামী ৪ এপ্রিল নিয়মিত বেঞ্চে এটি শুনানির জন্য আসবে। জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল এবং নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনী আপিল বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, তা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে গত বুধবার রায় দেয় বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ। তাতে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধতা পায়।
কিন্তু জায়েদ খানের আবেদনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয় হাইকোর্ট। জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত। পরে হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি তখন ওই পদে ‘স্থিতাবস্থা’ জারির আদেশ দেন। পরে আপিল বিভাগ তা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়।
সেই সঙ্গে জায়েদ খানের রিট আবেদনে যে রুল জারি হয়েছিল, হাইকোর্টকে তা নিষ্পত্তি করতে বলে সর্বোচ্চ আদালত। সেই রুলের ওপর শুনানি শেষে হাই কোর্ট বুধবার নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে রায় দেয়, যা গতকাল রোববার স্থগিত হয়ে গেল।