নিপুণ আক্তার নন, জায়েদ খানই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারের বৈধ অধিকারী বলে সিদ্ধান্ত দিল হাই কোর্ট। জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল এবং নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনী আপিল বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, তা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে গতকাল বুধবার রায় দিয়েছে আদালত। খবর বিডিনিউজের।
এ বিষয়ে জারি করা রুল ‘যথাযথ’ ঘোষণা করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। এর ফলে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে আপাতত আর বাধা থাকছে না জায়েদ খানের। তবে তাতে আইনি লড়াই শেষ হচ্ছে না, কারণ নিপুণ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম রায়ের পর তিনি বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট, এর ফলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
অন্যদিকে নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামীকালই আপিল বিভাগে যাব।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় গত ২৮ জানুয়ারি। পরদিন ঘোষিত ফলে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চনকে এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলে দেখা যায়, জায়েদ খান হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১৩ ভোটে হারিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন প্যানেলের নিপুণকে। নির্বাচনের সময়ই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ। তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি আপিল করেন। তার আপিলে ভোট পুনর্গণনা হলেও তাতে ফল একই থাকলে নিপুণ সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃভোটের দাবি তোলেন। সেখানে তিনি অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দেন। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন তিনি।
জায়েদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার ‘প্রমাণ পাওয়ার’ কথা জানিয়ে আপিল বোর্ড তার প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা করে। শপথ নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন নিপুণ।
ন্যায়বিচার পাইনি, আপিলে যাব : নিপুণ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবেন নিপুণ আক্তার। গতকাল রায় ঘোষণার পর এমন কথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমার আইনজীবী বলেছেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।
যারা রোজা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ : রায় ঘোষণার পর বলেন তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। একই সঙ্গে তার জন্য যেসব ভক্ত রোজা রেখেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারপর আমি ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, যার শাসনামলে আজকের এই ন্যায়বিচার দেখলাম। হাই কোর্টের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, যিনি আমাকে ন্যায়বিচার দিয়েছেন। আর আমার আইনজীবীদের প্রতি আমি আমৃত্যু কৃতজ্ঞ।