বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাহাজভাঙা শিল্পে বিদেশি গোষ্ঠীর নজর পড়েছে। এ শিল্প নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রও চলছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মালিক–শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
গতকাল দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত ‘গ্রিন শিপ ব্রেকিং শিল্পে শ্রমিকদের অধিকার ও কর্মস্থল নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আমজাদ হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, জাহাজ কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া গেলেও ইয়ার্ড নির্মাণে কোনো ঋণ দেওয়া হয় না। অথচ অন্যান্য দেশে সরকার নিজেই ইয়ার্ড তৈরি করে দেয়। বাংলাদেশেও এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।
শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত সভায় বলেন, শ্রমিকরা অনেক সময় ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তাঁরা ন্যূনতম মজুরি পান না, ওভারটাইমের বেতনও ঠিকভাবে দেওয়া হয় না। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ভাতা ও চিকিৎসা সেবার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। সভায় বক্তারা শিল্পের সার্বিক অগ্রগতির জন্য সরকার, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দেন। শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ফোরামের আহ্বায়ক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক কাজী নাজমুল হুদা, চট্টগ্রাম শ্রম দপ্তরের উপ–পরিচালক রুমানা আক্তার, সাংবাদিক ওমর ফারুক, জাহাজভাঙা শ্রমিক সেফটি কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন মাহমুদ, সদস্য সচিব মো. আলী, যুগ্ম সদস্য সচিব মো. ইদ্রিস ও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক টিপ সুলতান প্রমুখ।