জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরি করে বিক্রি এবং হেফাজতে রাখার দায়ে দুই ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির আমতলী এলাকার মো. সুলতান আহাম্মদের ছেলে মো. রাসেল চৌধুরী ও বরগুনা জেলার তালতলীর লালু পাড়ার মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. বেলাল হোসেন সৈকত। এর মধ্যে মো. রাসেল চৌধুরী রাঙ্গামাটির আমতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
গতকাল চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ কামাল হোসেন সিকদার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কানু রাম শর্মা আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ২০ নভেম্বর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর ইপিজেডের সৈকত শপিং সেন্টারের হোটেল ওরিয়নে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় চার টাকা মূল্যের ১৪ হাজার ২০০টি জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্পসহ মো. রাসেল চৌধুরী ও মো. বেলাল হোসেন সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব–৭ এর এসআই মো. নজরুল ইসলাম (বিডিয়ার) বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উদ্ধারকৃত জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প সম্পর্কে কাগজ পত্র দেখাতে বললে তা দেখাতে পারেননি আসামিরা। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জিন্নাত আলী দেওয়ান নামের এক ব্যক্তি ও জুলিয়া বেগম নামের এক নারীর সহায়তায় তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরি করে এবং হেফাজতে রেখে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বাজারে বা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে আসছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কানু রাম শর্মা বলেন, মামলার বিচার চলাকালে জিন্নাত আলী দেওয়ান ও জুলিয়া বেগমের সংশ্লিষ্ট না পাওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই চার্জশিট প্রদান করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও বন্দর থানার তৎকালীন এসআই প্রনব চৌধুরী। এরই ধারাবাহিকতায় পরের বছরের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।