জাল ভোট দিলে শাস্তি কী?

| রবিবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনে জালভোট দেওয়া এবং ভোটকেন্দ্রের বিধিবদ্ধ সীমানার মধ্যে বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সমপ্রতি বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারদের কাছে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো নির্দেশনায় প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের এসব বিষয় স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৭৩ থেকে ৮৭ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত অংশে ভোটকেন্দ্র এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শাস্তি বর্ণনা করা আছে। উপসচিব পদমর্যাদার একজন নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ভোটকেন্দ্রে বেআইনি আচরণ ও অপরাধের জন্য নির্বাচনি আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে অনধিকার প্রবেশের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ভোটের মাঠে দায়িত্বরত নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম অপরাধ বিবেচনা করে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করবেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৭৪ অনুচ্ছেদে বলা আছে, () যদি কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্বাচনে সুবিধা প্রদান বা বাধাগ্রস্ত করিবার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তির সাহায্য গ্রহণ বা প্ররোচিত করেন বা সাহায্য গ্রহণ বা প্ররোচিত করার চেষ্টা করেন। () ভোট দেওয়ার যোগ্য নন বা অযোগ্য জানা সত্ত্বেও কোনো নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন বা ভোট প্রদানের জন্য ব্যালট পেপার চান।

() একই ভোটকেন্দ্রে একাধিকবার ভোট প্রদান করেন বা ভোট প্রদানের জন্য ব্যালট পেপার চান। () একই নির্বাচনে একাধিক ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন বা ভোট প্রদানের জন্য ব্যালট পেপার চান। () ভোট চলাকালে কোনো ভোটকেন্দ্র হতে ব্যালট পেপার সরিয়ে ফেলেন। অথবা () জ্ঞাতসারে এসব কাজ করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত করেন বা তার সাহায্য চানতাহলে তিনি বেআইনি কাজের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবেন এবং তিনি সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডে ও অর্থদন্ডে দণ্ডিত হবেন।

জাল ভোট পড়লে কেন্দ্র বন্ধ : নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সমপ্রতি সতর্ক করেছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।

পিরোজপুরে তিনি বলেন, যদি একটাও জাল ভোট পড়ে, প্রমাণ সাপেক্ষে সেই কেন্দ্র বন্ধ হবে এবং সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজন্টেসহ সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, আমরা সম্পূর্ণভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি একটি ফ্রিফেয়ার নির্বাচন করা জন্য। আমাদের দিকে প্রত্যেক ভোটার, জনগণ, নেতা, সরকার এবং পৃথিবীর অনেক বড় বড় দেশ চেয়ে আছে। আমাদের দেশ, দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। সে কারণে সবার সহযোগিতা দরকার। সংবাদকর্মীদের বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা শুধু কেন্দ্রের ভেতরে লাইভ করতে পারবেন না। কিন্তু সব রেকর্ড নিতে পারবেন এবং যখন ভোট গণনা হবে, তখন সব ধরনের ভিডিও নিতে পারবেন। সর্ব প্রকার সুযোগসুবিধা আমরা মিডিয়াকে দেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে করে আমাদের চোখ এবং কান হিসেবে আপনারা কাজ করতে পারেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন
পরবর্তী নিবন্ধশাটলসহ চট্টগ্রামে চারটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল