জাল নোট দিয়ে দামি মোবাইল ও ল্যাপটপ কিনে তারা

চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার, সাড়ে ৩ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

জাল নোট দিয়ে দামি মোবাইল সেট ও ল্যাপটপ ক্রয়ের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকার জাল নোট, ছয়টি দামি মোবাইল সেট ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মহিউদ্দিন আল আজাদ প্রকাশ মহিন খান (২৬) ও মো. মারুফ মোল্লা (২৮)। গতকাল বন্দর থানা এলাকা থেকে এই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অতিরিক্ত উপ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন আজাদীকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট ব্যবহার করে মোবাইল ল্যপটপ কিনে প্রতারণায় জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এদের সাথে জাল নোট ছাপানোর একটি চক্র রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এসব জাল নোট বাগেরহাট থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছিল বলে জানান এডিসি। মারুফ এক লাখ টাকার জাল নোট সাত/আট হাজার টাকায় কেনার পর মহিউদ্দিনের কাছে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করত বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজমের এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে চক্রটির আরও দুই তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ কর্মকর্তা আরো জানান, সম্প্রতি আমেরিকা প্রবাসী এক ব্যক্তি সামসাং গ্যালাঙি নোট-২০ আলট্রা মডেলের মোবাইল সেট বিক্রির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়। মোবাইলটি কেনার জন্য ‘ফাহিম খান’ নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে যোগাযোগ করা হয়। পরে চন্দনপুরা এলাকায় গিয়ে প্রতারক ৭৮ হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল সেট ক্রয় করে নিয়ে যায়। পরে বিক্রেতা বুঝতে পারে টাকাগুলো জাল ও সে প্রতারিত হয়েছে। ওই ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটে একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী।
নগরীর চন্দনপুরায় প্রতারক চক্র জাল টাকা দিয়ে দামি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয়ার পর একই ধরণের আরেকটি ঘটনা ঘটে হালিশহর এলাকায়। গত ১৮ জুলাই একই মোবাইল নাম্বার থেকে যোগাযোগ করে জাল ৮০ হাজার টাকা দিয়ে এক শিক্ষার্থীর ওয়ান প্লাস এইট প্রো নামে একটি দামি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনাটিও কাউন্টার টেরোরিজমের নজরে আসার পর চক্রটিকে শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে বন্দর এলাকার বাসা থেকে মহিউদ্দিন আল আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৪ হাজার টাকা জাল নোট, প্রতারণার মাধ্যমে ক্রয় করা চারটি দামি মোবাইল সেট ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিউদ্দিনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে পরে একই থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মারুফ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এডিসি আসিফ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকার জাল নোট ও দুইটি দামি হ্যান্ডসেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।
মহিউদ্দিন পেকুয়া উপজেলার মৃত মো. শামসুল আলমের ছেলে। নগরীতে বন্দর থানাধীন আদর্শ পাড়া রোডে আসমত আলী সারেং বাড়িতে ভাড়ায় থাকে। অন্যদিকে মারুফ বাগেরহাট সদর থানার দেবপাড়া এলাকার মৃত মাহবুব মোল্লার ছেলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফেলনা মাছে নতুন সম্ভাবনা
পরবর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় পিডিবির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আগুন অন্ধকারে ৮ হাজার গ্রাহক