মালিক নন এমন একজনকে ভূমির মালিক সাজানো হয়। প্রতারণা, জাল জালিয়াতি, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, এমনকি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ কাজটি করা হয়। এ সংক্রান্ত দুদকের মামলায় পাথরঘাটার সেই ভূমির ভুয়া মালিক অজয় দাশকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা এ আদেশ দেন।
এর আগে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়। দুদক পিপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের আপত্তি আমলে নিয়ে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৮ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তাসহ (এলএও) ৬ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি হয়। এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, কানুনগো আব্দুল কুদ্দুছ, সার্ভেয়ার মো. শহিদুল ইসলাম মুরাদ, এসএম নাদিম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-৪ এর অনুমতিপত্র পরিদর্শক মো. ইকবাল চৌধুরী।
২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর দুদকের সহকারি পরিচালক মো. শহীদুল আলম সরকার নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দুটি করেন। এর মধ্যে একটি মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে এক নম্বর আসামি অজয় দাশকে ভূয়া মালিক সাজিয়ে বিএস খতিয়ান নম্বর ৩ এর ১৬০টি দাগের সাহামামুদপুর মৌজার প্রস্তাবিত ১৩.৭১ একর ভূমি অধিগ্রহণের ৮৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬৪ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। অপর মামলার এজহারে বলা হয়, একই পন্থা অবলম্বন করে আসামিরা বিএস খতিয়ান নম্বর ৩ এর ৭৪টি দাগের সাহামামুদপুর মৌজার প্রস্তাবিত ১১.৮৪ একর ভূমি অধিগ্রহণের ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।