জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে কোম্পানি গঠন করে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, সাবেক বিএসটিসি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের সাবেক শেয়ার হোল্ডার পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রকাশ রিপন, শফিকুল ইসলাম সবুজ, মো. নুরুন্নবী। তারা তিনজনই বর্তমানে জেক শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার।
গতকাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলম শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠান। এ সময় আনোয়ার আহমেদ (বিএসটিসি শিপিং এন্ড লজিস্টিকসের শেয়ার হোল্ডার পরিচালক) নামের অপর একজনের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের পেশকার মানু কান্তি শর্মা আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনায় করা মামলার চার আসামি উচ্চ আদালত কর্তৃক ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তারা আত্মসমর্পণ করে ফের জামিন আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট একজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং অপর তিনজনের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদী মোরশেদ আরিফ চৌধুরী এজহারে উল্লেখ করেন যে, তার বাবা এ এ রেজাউল করিম চৌধুরীর স্বাক্ষর জাল করে প্রোপাইটরশীপ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্ত সাধন করে ২০০৬ সালে বিএসটিসি শিপিং লিমিটেড নামে লিমিটেড কোম্পানি গঠন করে আসামিরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আসামিরা প্রোপাইটরিশীপ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্ত সাধন করে উক্ত কোম্পানি গঠন করেন। ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে প্রথমে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করে পিবিআই। এতে বাদী নারাজি দিলে আদালত সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর সিআইডি রিপোর্ট জমা দেয়। সিআইডির উক্ত রিপোর্টে দেখা যায়, এজহারভুক্ত ৭ জনের মধ্যে দুই জনকে বাদ দিয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে কারাপ্রাপ্ত তিনজনও আছেন।












