ভূমির মালিক না হওয়া সত্ত্বেও জাল-জালিয়াতি করে অধিগ্রহণের টাকা পেতে আবেদন করায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম আমিরাবাদ সিকদার পাড়ার মো. জেয়াউল হক নামের এক ব্যক্তি এ অভিযোগটি করেন। অভিযুক্তরা হলেন, লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম আমিরাবাদ ডলুরকুলের মছুা খাতুন (৫৫), ইসলাম খাতুন (৫২), আলী আহমদ (৫০), নুর আহমদ (৪৮), জালাল আহমদ (৪৬), ছৈয়দ আহমদ (৪৪), মমতাজ বেগম (৪০), পশ্চিম আমিরাবাদ সওদাগর পাড়ার মো. ইলিয়াস (৬০), নুর জাহান (৫৫), মীর কাসেম (৩০), লোহাগাড়ার আকবর আলী মুন্সি পাড়ার মো. মোক্তার আহমদ (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫), রোজিনা আক্তার (৪০), আহমদ কবির, লায়লা বেগম ও সামশুল আলম।
বাদীর আইনজীবী মামুনুল হক চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার মক্কেলের লোহাগাড়া উপজেলায় থাকা ১৫ শতক জমি সরকার কতৃক অধিগ্রহণ হয়েছে। সে অনুযায়ী ৮৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৫১ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা জেয়াউলের। কিন্তু ওই জমির ক্ষতিপূরণ পেতে আবেদন করে বসেছেন অভিযুক্তরা। এক্ষেত্রে তারা জমি বিক্রির তথ্য গোপন ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।