আসামি না হয়েও আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যাওয়া মো. রাকিবকে কোতোয়ালী থানায় হওয়া প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর (শোন এরেস্ট) আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২১ জুলাই চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজে আসামি না হয়েও সুমন মিয়া নামের একজনের ছদ্মবেশ ও পরিচয় ধারণ করে আত্মসমর্পণের এ ঘটনা ঘটিয়েছেন মো. রাকিব। এ ঘটনায় গত ২৮ জুলাই নগরীর কোতোয়ালী থানায় রাকিব ও সুমনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন নগর পুলিশের আদালতে থাকা প্রসিকিউশন বিভাগের আকবরশাহ থানার জিআরও এএসআই মো. সাইদুর রহমান।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আকবরশাহ থানায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি মাদক মামলা দায়ের হয়। যে মামলার আসামি মো. সুমন। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি চার্জশিটও দাখিল হয়েছে। এরমধ্যেই গত ২১ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার পর তার ডাটাবেইজ বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। এতে দেখা যায় যে, কারাগারে যাওয়া ব্যক্তি প্রকৃত আসামি সুমন মিয়া নন। তিনি হচ্ছেন মো. রাকিব। ভিন্ন উদ্দেশ্যে এবং ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সুমন মিয়ার ছদ্মবেশ ও পরিচয় ধারণ করে এবং আদালতের কাগজপত্র জালিয়াতি করে মো. রাকিব আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। যা দণ্ডবিধির ২০৫/৪৬৬/৩৪ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এদিকে গত ২১ জুলাই থেকে মো. রাকিব কারাগারে বন্দী আছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।