নগর আওয়ামী লীগের ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি–বার্ষিক সম্মেলন গতকাল বিকেলে কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজ সংলগ্ন একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়। জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাদা কাজী মালেকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ত্রি–বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী এবং প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি পদে আব্দুল মালেক ও মো. ইয়াকুব সমান সমান ভোট পাওয়া সভাপতি পদের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। আগামী ২–৪ দিন পরে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে সভায় উপস্থিত কাউন্সিলরদের জানিয়ে দেয়া হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন কবির মুন্নাকে নির্বাচিত করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, দলের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি সঞ্চয়ে তৃণমূল স্তরে পরীক্ষিত ত্যাগী নেতারাই সবচেয়ে বড় ভরসা। তাদের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটি আমরা মজবুত করতে চাই। আমরা জানি সকল কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শক্তি আমাদের আছে। কারণ আমরা ইঙ্গিত পাচ্ছি যে, সামনে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে আসুক বা না আসুক সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে হবে– এটাই হবে আমাদের প্রত্যাশা ও একমাত্র স্বপ্ন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মার্কিন ভিসা নীতি ও স্যাংশন নিয়ে বিএনপির আস্ফালন ও লাফালাফি বেড়েছে। আমরা এটাও জানি মার্কিন ভিসা নীতি ও স্যাংশন বিএনপির জন্যই বোমেরাং হবে। কেননা আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। কেননা আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। বিএনপি জামায়াত জনগণের দল নয়, তাই তারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনিও একটি নির্বাচনকালীন সরকার চান এবং তার নেতৃত্বে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে একটি ছোট আকারের সরকার গঠন করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এটাও সত্য যে, বিএনপি ও জামায়াত এই সংসদে নেই। তাদেরকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোন বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। এটা তারা বুঝেন ও জানেন বলেই বিভ্রান্তি ও মিথ্যাচার করে জনগণকে ভুল বার্তা দিচ্ছে। তারা আন্দোলনের কথা বলছে কিন্তু মাঠে আন্দোলন কই? বক্তৃতা ও বিবৃতিবাজি ছাড়া তারা আর কি করছে? সেটা সাধারণ মানুষ স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী বছর প্রথম মাসের শুরুতে যেকোনো সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবেই। আমাদেরকে রাজপথেও থাকতে হবে এবং নির্বাচনী ময়দানেও থাকতে হবে। এখন থেকে আর এক মুহূর্ত সময় ক্ষেপণ না করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দিয়ে গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে কি অর্জন ও সাফল্য এসেছে তা যদি সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে কোন অপশক্তি আওয়ামী লীগের বিজয়কে রুখতে পারবে না।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য গাজী শফিউল আজিম, মহব্বত আলী খান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পক্ষে কামরুল হাসান, কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু, ইউনিট আওয়ামী লীগের মো. হানিফ, নুরুল আলম নুরু, লোকমান হাকিম কুতবি। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ড. নেছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মো. মাঈনুদ্দিন, রেজাউল করিম কায়সার প্রমুখ।