লাইব্রেরী মানুষের মনের খোরাক। মানুষ লাইব্রেরি তে গিয়ে নিজের পছন্দসই বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে হলে লাইব্রেরিকে পিছনে ফেলে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাঁটগাবাসী উন্নত ও সুশীল সমাজের হওয়া সত্ত্বেও আমাদের যথেষ্ট লাইব্রেরী নেই। যারা সাহিত্যমনা তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনের হয়তো ব্যক্তিগত লাইব্রেরী থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু বই কিনে সাহিত্য চর্চা করা আমাদের মত সাধারণদের কাছে বিলাসিতা মাত্র। নগরের দুই একটি জায়গায় উন্মুক্ত লাইব্রেরী থাকলেও মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, লালখান বাজার, টাইগারপাস, চাঁন্দগাওসহ প্রায় এলাকায় কোন উন্মুক্ত লাইব্রেরি নেই। আমাদের বই পড়তে হলে ছুটে যেতে হয় দূরের লাইব্রেরিতে। এতে আমাদের সময় এবং টাকা প্রায়ই রাস্তায় চলে যায়। এই সুসময়ে যদি সরকার কিছু করতে না পারেন তবে আর কখনো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। দয়া করে নগরে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি করে মুক্ত পাঠাগার স্থাপন করে আমাদের কামনা চরিতার্থ করবেন।
নুরুল মোজতবা সাবিত
শিক্ষার্থী,
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, ষোলশহর।