আপাতত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের কোন ম্যাচ নেই বাংলাদেশ দলের। তাই নেপালের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। যার প্রথমটিতে আজ দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। তিন দিন পর একই ভেন্যুতে হবে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার টিম হোটেলের ফিটনেস সেন্টারে সকালে ঘাম ঝরিয়েছে দল। এরপর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন দলের অধিনায়ক জামাল ভুইয়া। তবে ইদানিং সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভুঁইয়াকে একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হয়, এই ম্যাচে আপনি খেলবেন কিনা। অসহায় ভঙ্গিতে অধিনায়ক বল ঠেলে দেন কোচের কোর্টে। কাঠমাণ্ডুতেও সেই একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি। এবারও জামাল একই সুরে বলে দিলেন নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে খেলবেন কি–না জানেন না তিনি। এই প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। ভারত, ভুটান ও সিঙ্গাপুর এই তিন দলের মধ্যে কেবল ভুটানের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন জামাল। নিয়মিত ম্যাচ খেলতে না পারার হতাশা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ঢাকায় থাকতেই বলেছিলেন। কাঠমাণ্ডুতে এসে অবশ্য একটু রাখঢাক করলেন। আমি খেলব কি খেলব না, সেটা আমার হাতে নেই। সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। তবে অবশ্যই একজন খেলোয়াড় হিসেবে সবাই খেলতে চায়। আমাদের দলে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। আর ফুটবল মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। নিজের সর্বোচ্চটা দিলে তবেই হয়তো জায়গা মিলবে দলে। হামজা চৌধুরী না থাকায় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে অবশ্য জামালের কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব দিতে পারেন হাভিয়ের কাবরেরা। অবশ্য কেবল জামাল নয়, তপু–তারিকের মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারদের নেপালের বিপক্ষে নানা কারণে তটস্থও থাকতে হবে বেশি। দুই দলের সবশেষ দেখায় ২০২২ সালে এ মাঠেই ৩–১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ড অঞ্জন বিস্তা নেপালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার অপেক্ষায়। বর্তমানে তিনি হরি খাড়কার সাথে ১৩ গোল নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন। জামালও মানছেন, নেপাল আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে আরও। জামাল বলেণ আমার মনে হয় নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ওদের পারফরম্যান্স দেখে বোঝা যায় (১–০ গোলের জয়)। সিঙ্গাপুরে গিয়ে খেলাটা সহজ নয়। তাই গত কয়েক মাসে নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। আর এখানে খেলতে আসাটাও প্রতিপক্ষের জন্য সবসময় কঠিন। তবে সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে নেপাল দল ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও নিজ দলের প্রতি জামালের আস্থা অটুট। হামজা, শোমিত সোম, ফাহামিদুলদের অনুপস্থিতির কমতিটুকু মেনে নিয়েই অক্টোবরে হংকংয়ে বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করে নিতে চান এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। আমাদের প্রত্যাশা একই। আমরা এখানে ৩ পয়েন্টের জন্য এসেছি। আপনি যেকোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সবাই একই উত্তর দেবে। আমরা জিততে এসেছি। তবে একইসঙ্গে ভালো পারফরম্যান্স করতে এবং নিজেদের ও দর্শকদের দেখাতে যে, আমরা উন্নতি করছি। বিশেষ করে আগামী মাসের জন্য। আগামী মাস আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই ম্যাচ দুটোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, কারণ এগুলো আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগামী মাসে আমাদের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ আছে হংকংয়ের বিপক্ষে। তাই এই দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুখিয়ে আছি।












