জামালপুরে হামলায় আহত সাংবাদিকের মৃত্যু, আটক ৩

| শুক্রবার , ১৬ জুন, ২০২৩ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

একদিন আগে জামালপুরে হামলায় আহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আমরা চিহ্নিত করে আটক করেছি। বাকিদের খুব দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব আশা করি। খবর বিডিনিউজের।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নাদিমকে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

গোলাম রব্বানী নাদিম (৪৫) বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। বুধবার রাত ১০টায় জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় পাটহাটি এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা।

তিনি জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রাতে বাড়িতে ফেরার সময় ১০১২ জন দুর্বৃত্ত গোলাম রব্বানীর ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয় সাংবাদিক এবং পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নেয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাদিমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাতের অভিযোগ, সংবাদ প্রকাশের জেরে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর লোকজন তার বাবার ওপর এ হামলা চালিয়েছে। নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। তবে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তার সঙ্গে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের কোনো শত্রুতা নেই। এ হামলায় তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।

এর আগে গত ১১ এপ্রিলও নাদিমের ওপর একবার হামলার ঘটনা ঘটে। সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে তার ওপর ওই হামলা করা হয়েছিল বলে পরিবার ও স্থানীয় সাংবাদিকদের ভাষ্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরুমায় চারদিনের মাথায় আবারও দুই শ্রমিককে অপহরণ
পরবর্তী নিবন্ধসবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে, প্রত্যাশা বাংলাদেশের