জামালখানে বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র ভাঙচুরের স্থান পরিদর্শনে মন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৮ জুন, ২০২৩ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

নগরের জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির দুঃখ প্রকাশ না করার মধ্য দিয়ে এ ঘটনার দায়দায়িত্ব বিএনপি বহন করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, যে দলের নেতাকর্মীরা এটা করেছেন, আমি লক্ষ্য করেছি সেই দল গত দুইদিনেও এজন্য একবারও কোনো দুঃখ প্রকাশ করেনি। যার অর্থ হচ্ছে, তারা এর দায় দায়িত্ব নিয়েছেন বা বহন করছেন। যদি দুঃখ প্রকাশ করতো, তাহলে বুঝতাম কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী হয়তো এটা করেছে, এজন্য তারা সাংগঠনিকভাবে এর দায়িত্ব নেয়নি। কিন্তু তাদের নীরবতাই প্রমাণ করে তারা এটা সমর্থন করেন।

গতকাল শনিবার জামালখান মোড়ে ভাঙচুর হওয়া বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন তিনি। এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক শাজাহান খান তার সঙ্গে ছিলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপি এবং অন্যান্য যারা ভাংচুর করেছে, আমরা স্থিরচিত্র দেখলাম, কিভাবে আক্রমণ করেছে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধেরও বিরোধিতা করে। তারা আজ পর্যন্ত স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। তাদের সাধের পাকিস্তান আজ ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র। অথচ তারা সুযোগ পেলেই পাকিস্তানের গুণগান গায়। বিএনপির মহাসচিব কিছুদিন আগে বলেছিলেন, পাকিস্তানে আমলে ভালো ছিলাম। কোন সুযোগে ভালো ছিল, সেটা আমার জানা নেই। এখনো তারা পাকিস্তানকে হৃদয় দিয়ে লালন করে, এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো দলীয় নেতা নন, তিনি জাতির পিতা। তার জন্ম না হলে দেশই স্বাধীন হতো না। যারা স্বাধীনতা মানে, তারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করতে পারে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিভাজন, বিভক্তি, মতাদর্শের অমিল, মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ওপর হামলা প্রকারান্তরে এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর হামলা, স্বাধীনতার ওপর হামলা। কাজেই এটার শুধুই নিন্দাই করি তা নয়, যারা এজন্য দায়ী ব্যক্তি, তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

শাজাহান খান বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারুণ্যের সমাবেশের নামে তারা এখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ২১ জুন বাংলাদেশের সব জেলাউপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে, যাতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এই ঘটনা দেখে যা বুঝলাম, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধুকে তো বিএনপি হত্যা করেছে। এই দল যে সৃষ্টি করেছে সেই স্রষ্টাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। তাদের কর্মীরাই বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আঘাত করেছে। এদের চরিত্র এখনো পাল্টায়নি।

এসময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক শাহেদ মুরাদ সাকু ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ে বজ্রপাতে ১০ গরুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধবাবা মানেই নির্ভরতা