জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের পাশাপাশি তাদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে

মহানগর ১৪ দলের সভায় নেতৃবৃন্দ

| বুধবার , ৩১ জুলাই, ২০২৪ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

জামায়াতশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পাশাপাশি তাদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দল নেতৃবৃন্দ। ১৪ দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল সকালে দারুল ফজল মার্কেট নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের এক সভায় উক্ত মত প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জামায়াতশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের হৃদয়ের সিদ্ধান্ত। ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে জামায়াতশিবিরকে যারা এতদিন রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামায়াতশিবিরসহ জঙ্গি সংগঠনগুলো যেভাবে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে তা একাত্তর সালের চেয়েও ভয়ংকর। তাই তাদেরকে সমূলে উৎপাটন করতে হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা আফগানিস্তানের মতো তালেবানি কায়দায় বাংলাদেশ দখল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বাংলা হবে আফগান/ আমরা হব তালেবানঢাকার রাজপথে জঙ্গিদের এ রকম প্রকাশ্য স্লোগানও আমরা শুনেছি। তাই এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে বাংলাদেশ কি ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং দুই লক্ষ মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হবে? নাকি জামায়াতশিবিরজঙ্গিদের মতবাদ দ্বারা পরিচালিত হবে? এসব জঙ্গি যেভাবে তালেবানি কায়দায় লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংযমী আচরণ না করলে মৃত্যুর হার আরো বাড়ত বলে মত প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী মর্যাদার আসনে উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করেছেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তালেবানি শাসন কায়েম হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে সেটাও বিবেচনায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। নেতৃবৃন্দ ১৪ দলের আদর্শিক সংগঠনগুলোকে এলাকায় এলাকায় জামায়াতশিবিরজঙ্গিদের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি জামায়াতশিবিরের আর্থিক প্রতিষ্ঠান জব্দ এবং বিদেশে পাচারকারীদের টাকা ফেরত এনে দেশের সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি নির্বাহ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ ছাত্র সমাজের উদ্দেশে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের ফলে আপনাদের আন্দোলনের পরিপূর্ণ বিজয় অর্জিত হয়েছে। তাই এখন জামায়াতশিবিরজঙ্গিদের পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করুন। পাশাপাশি ছাত্র সমাজের কোনো যৌক্তিক সমস্যা থাকলে তা আলাপআলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজনের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, ন্যাপ কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য গাজী মো. আলমগীর কবির, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, গণআজাদী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও মহানগর আহ্বায়ক মাও. নজরুল ইসলাম আশরাফী, ন্যাপ মহানগর সভাপতি বাপন দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫৫৫ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ সংস্কার অচিরেই শুরু হচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধকোটা আন্দোলনের আড়ালে নাশকতা চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীরা : মেয়র