গ্রামের সহজ সরল দিনমজুর, অটো চালক, ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ এবং সেলুন কর্মচারীকে ব্যবসায়ী সাজিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের স্ত্রী, ভাইসহ ১১৫ জনের বিরুদ্ধে ৮ টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। গতকাল দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শোয়াইব ইবনে আলম, উপ–পরিচালক মো. মশিউর রহমান, উপ–সহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ, সহকারী পরিচালক মো. মাইনউদ্দীন ও উপ–সহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ মামলাগুলো দায়ের করেন। এসব মামলার প্রত্যেকটিতে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ছোট ভাই ও ইউসিবিএল’এর পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া জাবেদের আরেক ভাই আসিফুজ্জামান চৌধুরীকে সাতটিতে, তিনটিতে তার বোন রোকসানা জামান চৌধুরী ও ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বশির আহমেদকে সাতটিতে আসামি করা হয়। আসামির তালিকায় ইউসিবিএল’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়, গ্রামের সহজ সরল খণ্ডকালীন শ্রমিক (দিনমজুর) নুরুল ইসলামের ব্যক্তিগত তথ্য তথা এনআইডি, ছবি সংগ্রহ করে ভূয়া ও অস্তিত্বহীন ইসলাম এন্টারপ্রাইজের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ঋণ নিয়ে সাড়ে ৬ কোটি টাকা, অটো চালক আমির হামজার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে ভূয়া ও অস্তিত্বহীন এশিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ঋণ নিয়ে ৮ কোটি টাকা, কৃষক ও খণ্ডকালীন শ্রমিক মো. মাঈন উদ্দিনের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ভূয়া ও অস্তিত্বহীন মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ঋণ নিয়ে ৭ কোটি টাকা, ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ দিদারুল আলমের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ভূয়া ও অস্তিত্বহীন আলম এন্টারপ্রাইজের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ঋণ নিয়ে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, দিনমজুর জসিম উদ্দিনের তথ্য ব্যবহার করে ভূয়া ও অস্তিত্বহীন জুপিটার এন্টারপ্রাইজের নামে ঋণ নিয়ে ৯ কোটি টাকা, শ্রমিক সাইফ উদ্দিননের তথ্য ব্যবহার করে ভূয়া ও অস্তিত্বহীন সান সাইন এন্টারপ্রাইজের নামে ঋণ নিয়ে ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আরেক শ্রমিক নজিম উদ্দিনের তথ্য ব্যবহার করে ভূয়া ও অস্তিত্বহীন নাজিম এন্ড সন্স’র নামে ব্যাংক হিসাব খুলে এবং ঋণ নিয়ে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা ও সেলুন কর্মচারী রাজধন কর্মকারের তথ্য ব্যবহার করে ভূয়া ও অস্তিত্বহীন আল–রাজি এন্টারপ্রাইজের নামে ঋণ নিয়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সবমিলে আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপ–পরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।












