জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, তার ছেলে রাফাত রহমান জিতু, মেয়ে মালিহা তাসনিম জুঁই ও পুত্রবধূ শাকিলা খানম কাকনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদনে গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, রংপুর–১ আসনের সাবেক এমপি রাঙ্গা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, ‘রাঙ্গা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে ভিন্ন কোনো উৎস হতে বা অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (রংপুর, ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পলায়ন করতে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।’
সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা : আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও তার স্ত্রী লিপিকা ভদ্রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন একই বিচারক। গতকাল সোমবার তাদের বিরুদ্ধে আবেদনে দুদক বলেছে, বিকাশ কুমার সাহাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণ, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। বিকাশ ও তার স্ত্রী সপরিবারের দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে জানা গেছে। তারা পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় বিকাশ কুমার আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ছিলেন।