জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের কাছে দুটি বিপজ্জনক ঘটনায় চীনা যুদ্ধবিমানগুলো জাপানি সামরিক এয়ারক্রাফট লক্ষ্য করে ফায়ার কন্ট্রোল রাডার তাক করেছিল বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। খবর বিডিনিউজের।
তাদের এই ভাষ্য বেইজিং প্রত্যাখ্যান করেছে, বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিমানের নিরাপদ চলাচলের জন্য যা যা প্রয়োজনীয় রাডারের আলোকরশ্মি সেগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে, এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমনটাই বলেছেন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি। শনিবারের এসব দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে জাপান চীনের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও পাঠিয়েছে, বলেছেন তিনি। টোকিওতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কোইজুমি বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীনের কর্মকাণ্ডের দৃঢ় ও সংযমী প্রতিক্রিয়া দেখাবে জাপান।
চীনা নৌবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওয়াং শুয়েমেং বলেছেন, চীন আগেই মিয়াকো প্রণালীর পূর্বদিকে রণতরীভিত্তিক বিমান ওঠানামা সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল, তারপরও জাপান বারবারই চীনা নৌবাহিনীর যানগুলোর দিকে তেড়ে আসছে ও সেগুলোর কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। গত কয়েক বছরে চীন ও জাপানের বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা নেই বললেই চলে। শনিবারের ঘটনাগুলো পূর্ব এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই মনে হচ্ছে।
সামপ্রতিক সময়ে এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে তাইওয়ান নিয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। চীন স্বশাসিত তাইওয়ানকে তার নিজের অংশ মনে করে. দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে তারা। তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড জাপানের নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করলে টোকিও প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তাকাইচি।
এরপর থেকেই চীন জাপানের বিরুদ্ধে একের পর এক ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। অন্য এয়ারক্রাফটের দিকে ফায়ার কন্ট্রোল রাডার তাক করাকে হুমকিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ ওই রাডার তাক করার মাধ্যমে সম্ভাব্য আক্রমণের সঙ্কেত দেওয়া হয়, এমন ক্ষেত্রে ওই এয়ারক্রাফট নিজের সুরক্ষায় পাল্টা যে কোনো কৌশল নিতে বাধ্য হতে পারে। চীনা রাডার তাদের বিমানগুলোকে লক করেছিল কিনা, কিংবা রাডার তাকের পর তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল কিনা সে বিষয়ে জাপান এখনও কিছু বলেনি।












