সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে গতকাল রাত পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নিহতের সংখ্যা ৪৬ জন বলে জানানো হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহতদের মাঝে ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। আর মরদেহের বিষয়ে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান আজাদীকে বলেন, রোববার রাত পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ আমাদের হাসপাতালে এসেছে। এর মাঝে একটি এসেছে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতাল থেকে। সবমিলিয়ে ৪১টি মৃত্যুর বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এর মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১১টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।
পরিচয় শনাক্ত ১৮ জনের : নিহতদের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। চমেক হাসপাতাল প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া ১৮ জন হলেন, সন্দ্বীপের কালাপানিয়া এলাকার মো. মোবাশ্বের ইসলামের ছেলে মো. তৌহিদুল হাসান, মীরসরাই সোনা পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে শাহাদাত হোসাইন, বাঁশখালীর দক্ষিণ পাঁচুরিয়ার জসিম উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন রুবেল (৩০), বাঁশখালীর নাপোড়া এলাকার জাফর আহমেদের ছেলে মো. রিদুয়ান, খুলনার আব্দুস সাত্তার তরফদারের ছেলে শাকিল তরফদার (২৩), ভোলার সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (২৪), বাঁশখালীর মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দিন (২২), কুমিল্লা নাঙ্গলকোট এলাকার সামসুল হকের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান, বাঁশখালীর মো. হাসান আলীর ছেলে তৌহিদুর ইসলাম (২০), যশোরের আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৭), সাতকানিয়ার নুর সোলেমানের ছেলে মো. আফজাল হোসেন (২০), ফিরোজপুরের সাত্তার জমাদ্দারের ছেলে ফারুক জমাদ্দার (৫৫), মৌলভী বাজার এলাকার মো. আশিকের ছেলে মো. নয়ন (২২), ফেনী ফুলগাজী এলাকার আমিন উল্লাহর ছেলে শাহাদাত উল্ল্লাহ (৩০), নোয়াখালী সদরের নেজাম উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন (২৫), চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার আব্দুর সবুরের ছেলে মো. হারুন (৫১), নোয়াখালীর আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আলা উদ্দিন (৩৭) ও মানিকগঞ্জের পান্নো মিয়ার ছেলে রিনা মিয়া (২৩)। নিহত অন্যদের পরিচয় গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি।
পরিচয় শনাক্ত হবে ডিএনএ টেস্ট : নিহতদের মাঝে এখনো পর্যন্ত যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি, তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এসব মরদেহের পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।