জানার আছে যা কিছু

কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

| বুধবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

তিন বছর পর বাংলাদেশ থেকে কাজ নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কৃষি, শিল্প, সেবা, খনি, নির্মাণ ও গৃহস্থালি সেবাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। আর কর্মী নেওয়ার খরচ নিয়োগকর্তাই বহন করবে। সমপ্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের মালয়েশিয়া সফরে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে দেশটির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, আরও কিছু কাজ চূড়ান্ত হওয়ার পর মালয়েশিয়া প্রান্ত থেকে চাহিদা আসার পর পাঠানো শুরু হবে প্রবাসীকর্মী। খবর বিডিনিউজের।
চুক্তিতে কী আছে এবং কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হবে, তা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুকদের সরকারি নির্দেশনা মেনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা, সাবধান করেছেন দালাল চক্রের খপ্পরে না পড়তে। দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান সেদিন এক বিবৃতিতে বলেন, রাবার বাগান, কৃষি, শিল্প, সেবা, খনি ও পাথর আহরণ, নির্মাণ ও গৃহস্থালি সেবাসহ বিভিন্ন খাত বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। শুধু রাবার বাগানে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সব খাত উন্মুক্ত করার প্রস্তাবও সরকার অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান তিনি। নতুন খাত হিসাবে হাউজহোল্ড বা গৃহকর্মী নিয়োগের পথও খুলে দেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়া মোট কত লোক নিয়োগ দেবে- এ প্রশ্নে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুনি ৬-৭ লাখ শ্রমিক দরকার আছে ওদের। কিন্তু কোন খাতে দরকার সেটা আমরা জানি না। ৬-৭ লাখ হলেও ওখান থেকে চাহিদা আসার পর জানতে পারব, আমরা কতজন পাঠাব- দুই, তিন না পাঁচ লাখ।’
বাংলাদেশ থেকে সেসব কর্মী যেতে চান, সবাইকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডেটাবেইজে অবশ্যই নিবন্ধিত হতে হবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তাকে দিতে হবে, যার মধ্যে আসা-যাওয়ার বিমানভাড়াও রয়েছে। নিয়োগকর্তা বেশিরভাগ খরচ বহন করায় শ্রমিকদের ঘাড়ে ব্যয়ের ভার তেমন থাকবে না বলেই আশা করছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ও সচিব। বাংলাদেশ প্রান্তের কয়েকটি খরচ বহন করতে হবে শ্রমিককে; সেসব খরচ যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে সে বিষয়ে সরকার তৎপর থাকবে বলে আশ্বাস দেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ও সচিব। এসব খরচের মধ্যে পাসপোর্টের ফি, দেশীয় এজেন্সির ফি, বিএমইটির ফি, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ফি এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় দুই সহোদর গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে বাসের সাথে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত