জাতীয় লিগে হার দিয়েই শুরু চট্টগ্রামের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২২ at ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় লিগের শুরুটা হার দিয়ে করতে হলো চট্টগ্রামকে। নিজেদের মাঠে লিগের প্রথম চারদিনের ম্যাচে স্বাগতিক চট্টগ্রাম ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে। বলা যায় ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই ব্যাকফুটে ছিল চট্টগ্রাম। জাতীয় তারকা তামিম পারেননি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে। অন্য ব্যাটসম্যানরাও ছিল ব্যর্থতার মিছিলে। ফলে পরিনতি যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিশেষ করে ম্যাচের তৃতীয় দিনেই চট্টগ্রামের পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কারন স্বাগতিক চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৬৯ রান। তখনো দুই রান পিছিয়ে ছিল। শেষ দিনে বাকি ব্যাটসম্যানরা মিলে করতে পেরেছে ৫২ রান। আর তাতেই সহজ লক্ষ্য পেয়ে যায় সিলেট। সিলেটের দুই স্পিনার নাবিল সামাদ এবং নাঈম আহমেদের ঘুর্নির মুখে পড়ে নাকাল হয়েছে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করা চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২২১ রান। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে জ্বলে উঠলেন নাবিল সামাদ। তার সঙ্গে অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়ালেন নাঈম আহমেদ। দুই স্পিনারের চমৎকার বোলিংয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে অনায়াসে জিতল সিলেট বিভাগ। দুই স্পিনার মিলে নিয়েছে ১৭ উইকেট। যেখানে নাবিলের উইকেট ৯টি আর নাঈমের উইকেট ৮টি। ফলে ৫১ রানের লক্ষ্য সিলেট অতিক্রম করে ফেলে মাত্র ৪৭ বলেই। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া নাবিল দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এই স্পিনারই জিতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান নাঈম। আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৬৯ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করা চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় প্রথম সেশনেই। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন নাঈম। অনেকটা সময় উইকেটে কাটানো পারভেজ হোসেন ইমনও এই স্পিনারের শিকার। ১২৭ বল খেলে ১৬ রান করে বোল্ড হন ইমন। আর ইরফান শুক্কুর ফিরেন ৮০ বলে ২৩ রান করে। এরপর একে একে ইফতেখার সাজ্জাদ, মেহেদি হাসান রানা ও ইয়াসিন আরাফাতকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নাঈম। শেষ উইকেটটি নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস গুটিয়ে দেন নাবিল। এরপর মাত্র ৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ইমতিয়াজ হোসেন বিদায় নিলেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার তৌফিক খান। মুলত তারই ঝড়ে দ্রুত ম্যাচ শেষ করে সিলেট। অমিত হাসানকে নিয়ে মাত্র ৪৭ বলে ম্যাচ জিতে ফিরেন তৌফিক খান। ২৬ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চারের সাহায্যে ৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তৌফিক। আর অমিত হাসান অফরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ১৫ রান করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅভিনেতা মাসুম আজিজ লাইফ সাপোর্টে
পরবর্তী নিবন্ধসৈয়দ মঈনুদ্দিন হোসাইন স্মৃতি অনূর্ধ্ব-১৬ একাডেমি কাপ ফুটবলের উদ্বোধন আজ