জাতীয় নির্বাচন বানচাল হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

লালদীঘি মাঠে জনসভায় বৃহত্তর সুন্নী জোট নেতৃবৃন্দ

| রবিবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় সংলাপে এবং জুলাই সনদে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের সমান সুযোগ দেয়া, দুর্নীতিবাজ কালো টাকার মালিক ও দণ্ডিতদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, মাজার মসজিদ খানকায় হামলায় জড়িতদের বিচার, জুলাই বিপ্লব ও পরবর্তী সময়ে সংঘটিত সব হত্যার বিচার করা এবং মবসন্ত্রাস থামানো সহ ১৩ দফা দাবিতে গতকাল শনিবার বিকালে লালদীঘি ময়দানে জনসভার আয়োজন করে বৃহত্তর সুন্নীজোট চট্টগ্রাম জেলা।

জনসভায় সুন্নীজোট নেতৃবৃন্দ বলেন, এই মুহূর্তে বড় প্রয়োজন জনস্বার্থে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য। কিন্তু জাতীয় জনস্বার্থ ইস্যুতে ঐক্যের চেয়ে অনৈক্যবিভাজনই আজ প্রকট হয়ে উঠেছে। ফলে দেশবাসীর মাঝে যে শঙ্কা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে হবে। বর্তমানে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে কিংবা কোনো মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচাল হলে জনগণকে আবারো চরম মাশুল দিতে হবে। তখন দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে বৃহত্তর সুন্নী জোট নেতৃবৃন্দ আশংকা প্রকাশ করেন। জনসভায় ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে ছাঁটাইকৃত ব্যাংক কর্মীদের চাকরি অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। জনসভায় বৃহত্তর সুন্নী জোটের নেতা ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্নের বাংলাদেশ এখনো অধরাই থেকে গেল।

বৃহত্তর সুন্নীজোটের নেতা বিএসপি চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, মানুষ আজ ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। বিএসপি চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি এস এম শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং জনসভা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইসলামী ফ্রন্ট মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা আবদুন্নবী আলকাদেরী, সদস্য সচিব বিএসপি চট্টগ্রাম জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও ইসলামিক ফ্রন্ট নগর সহসভাপতি মঈন উদ্দিন চৌধুরী হালিমের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য দেন, ইসলামিক ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা জয়নাল আবেদীন জুবাইর।

স্বাগত বক্তব্য দেন, ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর। বক্তব্য দেন, আহলে সুন্নাত মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যক্ষ অছিউর রহমান, সোলায়মান আনসারী, হাফেজ আশরাফুজ্জামান, ইসলামী ফ্রন্ট প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, মাওলানা আবু সুফিয়ান আবেদী আলকাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, এম সোলায়মান ফরিদ, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মাওলানা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ। বক্তব্য দেন, অধ্যক্ষ মাওলানা এস এম ফরিদ উদ্দীন, কাজী জসিম উদ্দিন, মুহাম্মদ ইব্রাহীম আখতারী, মো. আসলাম হোসাইন, মাওলানা মুফতি খাজা বাকি বিল্লাহ আজহারী, মো. ইব্রাহিম মিয়া, ঢালি কামরুজ্জামান হারুন, অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ আশরাফী, অধ্যক্ষ রফিক ছিদ্দিকী, জোবাইর রেজভী, অধ্যক্ষ ইসমাইল নোমানী, হাফেজ আনিসুজ্জামান, . জাফলউল্লাহ, অধ্যাপক আবদুর রহিম মুনিরী, মাওলানা ফেরদৌসুল আলম খান কাদেরী, স ম হামেদ হোসাইন, অধ্যক্ষ ছৈয়দ মাওলানা জসিম উদ্দীন তৈয়বী, স ম শহিদুল হক ফারুকী, অধ্যাপক ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, স ম শওকত আজিজ, মাওলানা ইউনুস যুক্তিবাদী, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আলমগীর ইসলাম বঈদী, ডা. সরওয়ার উদ্দিন, সাহেদুল আলম, মো. শাহ আলম অভি, ডা. নুরুল আনোয়ার হিরণ, মুহাম্মদ আলী হোসেন, মাস্টার খোরশেদ আলম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক বিভাজকে কেটে ফেলা হল ৫০টি বকুল গাছ
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আজীবন গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে দায়মুক্তি