জাতীয় নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও রেশনিং প্রথা চালুর দাবি

ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সমাবেশ

| মঙ্গলবার , ৮ নভেম্বর, ২০২২ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টি.ইউ.সি) কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত দাবি দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় এম.এ. আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। টি.ইউ.সি চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি তপন দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতাখার কামাল খান, মীর মোঃ ইলিয়াছ, ফজলুল কবির মিন্টু, বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স ইউনিয়ন সভাপতি তফাজ্জ্বল হক প্রধান, সহ সভাপতি এম. এস. রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ মহিনউদ্দীন, চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা প্রদীপ দাশ, হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ হানিফ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূর আলম, ত্রিহুইলার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা আনোয়ার হোসেন, মোঃ রুবেল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষ দ্রব্য মূল্যের চাপে দুঃসহ জীবন যাপন করছে। করোনা, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে আমদানিকারক সিন্ডিকেট, ডিলার, মজুদদার, মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে দাম বাড়াচ্ছে। সকালে একদাম তো বিকেলে আরেক দাম হাঁকাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। চাল, ডাল, তেল, চিনি সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম। মানুষের দৈনিক আয়ের সাথে চরম অসামঞ্জশ্যপূর্ণ।

বেসরকারী প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের মধ্যেও বৈষম্য বিরাজ করছে। নির্মাণ, ডেকোরেটার্স -কমিউনিটি সেন্টার, পরিবহন সেক্টর সহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কাজ নাই, মজুরি নাই ভিত্তিতে বছরের পর বছর কাজ করতে হয়। বেসসরকারি স্বাস্থ্য সেক্টর, হোটেল রেস্টুরেন্ট, চা বাগানসহ শ্রমিকদের মধ্যে আয় বৈষম্য প্রকট। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত চা শ্রমিকদের জন্য বর্ধিত মজুরি ৫০ টাকা ও বকেয়া মালিকরা এখনও দিতে গড়িমসি করছে।

সরকার জাতীয় নিম্নতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা না করলে দেশের সাড়ে ৬ কোটি শ্রমজীবী মানুষের জীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে পড়বে। নেতৃবৃন্দ ২০ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরি ধার্য্য করে জাতীয় নিম্নতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশন প্রথা চালুর দাবি জানান। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার
পরবর্তী নিবন্ধনতুন পোশাকে মাঠে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা