৪৯ তম জাতীয় দাবায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ। মঙ্গলবার পর্যন্ত নিয়াজ ও আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমানের সমান সাড়ে নয় পয়েন্ট ছিল। গতকাল বুধবার শেষ রাউন্ডে নিয়াজ ফিদে মাস্টার সুব্রত বিশ্বাসকে হারান আর ফাহাদ সাকের উল্লাহ’র বিপক্ষে হেরে যান। এতে নিয়াজ সাড়ে দশ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ও ফাহাদ সাড়ে নয় পয়েন্টে রানার আপ হন। উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার বাংলাদেশের নিয়াজ মোরশেদ। ৫৯ বছর বয়সেও তিনি এখনো দেশের সেরা দাবাড়ু। এবার তার শিরোপা লড়াই ছিল আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমানের সঙ্গে। যিনি মূলত তার শিষ্য। গুরু–শিষ্যের লড়াইয়ের পর জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নিয়াজের অনুভূতি, ‘এবার আমি ভালোই খেলেছি। ১৩ গেমের মধ্যে ৮ টি জিতেছি এবং পাঁচটি ড্র। প্রতিদ্বন্দ্বিতাও ভালো হয়েছে।’ ২০১৯ সালের পর আবার জাতীয় দাবার সেরা হলেন নিয়াজ মোরশেদ। এটি তার সপ্তম জাতীয় দাবার শ্রেষ্ঠত্ব। ১৯৭৯–৮২ পর্যন্ত টানা চার বার চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। এরপর তিনি গ্র্যান্ডমাস্টার হলেও উচ্চ শিক্ষার জন্য দাবা থেকে দূরে ছিলেন। বেশ কয়েক বছর পর আবার দাবা অঙ্গনে ফেরেন। ত্রিশ বছর পর ২০১২ সালে জাতীয় দাবার শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করেন। ২০১৯ সালে সর্বশেষ তিনি জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। গতকাল তিনি সপ্তম বারের মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়নের কৃতিত্ব গড়লেন। এবারের জাতীয় দাবায় একমাত্র গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদই খেলেছেন। রিফাত বিন সাত্তার পেশাগত ব্যস্ততায় অংশগ্রহণ করেননি। অনেক দিন থেকেই ব্যক্তিগত কারণে দাবা থেকে দূরে আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার আব্দুল্লাহ আল রাকিব। এনামুল হোসেন রাজীব স্ত্রীর উচ্চশিক্ষার কারণে ইংল্যান্ডে রয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান গত বছর জাতীয় দাবা খেলাবস্থায় পৃথিবী ত্যাগ করেন। গত বছর জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন ছিলেন আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়। তিনি এবার তেমন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। আরেক আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমানের এবার প্রথমবারের মতো জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল। গতকাল শেষ রাউন্ডে হেরে তিনি সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। গতকাল তিনি শাকেরের বিপক্ষে জিতলে আজ নিয়াজের বিপক্ষে শিরোপা নিষ্পত্তির জন্য প্লে অফ ম্যাচ হতো।