‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার’ ঘরে ঘরে গ্রন্থাগার- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। বর্তমান সময়ে ছাত্র/ছাত্রীরা স্কুল কলেজে লেখাপড়া করছে শুধু পাস করার জন্য। তারা জানে না গ্রন্থাগার না থাকায় স্কুল কলেজের বাইরে কোন জ্ঞান অর্জন করতে পারছে না। আমরা মনে করি গ্রন্থাগারের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীরা বিভিন্ন দেশের কথা, মনীষীর জীবনী, তথ্য প্রযুক্তি ও জীবনের সফলতার কথা জানতে পারে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য গ্রন্থাগার বিরাট ভূমিকা পালন করে। যারা বই পড়েন, তারা পৃথিবীকে জানতে বুঝতে পারেন। ছাত্র/ছাত্রীদের সত্যিকারের মানুষ হবার সুযোগ দিতে লাইব্রেরি অবশ্য-অবশ্যই প্রয়োজন। শিক্ষা বিস্তারে ও জ্ঞান চর্চার প্রয়োজনে জাতীয় রীতি হিসেবে বেশি বেশি করে সরকারি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। তাছাড়া দেশের গ্রামগুলোতে শিক্ষার সুযোগ সীমিত।
স্কুলগুলোতে পড়াশুনার মান খুবই নিচু। দরিদ্র শিক্ষার্থীরা বইয়ের অভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিত্য নতুন পরিবর্তনে নিজেদের পরিচিত রাখতে পারে না। গ্রামীণ গ্রন্থাগার আমাদের দেশে শিক্ষার উন্নয়নে খুবই সহায়ক হবে। গ্রামে গ্রামে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার কাজকে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করা হলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করি।
-এম.এ. গফুর, বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ পশ্চিম পাড়,
কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।