জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে হালদা

চবিসাসের কর্মশালায় বক্তারা

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

দেশের একমাত্র মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী। সাম্প্রতিক সময়ে নদীটিকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ নদী সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। ‘হালদাকে জানি’ প্রতিপাদ্যে কর্মশালায় মৎস্য আহরণের বাস্তবিক প্রয়োগগুলো পরিদর্শন করেন সংগঠনটির সদস্যরা। জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গড়দুয়ারা হাটের হালদা পাড়ে যান তারা। এরপর সেখানেই আয়োজন করা হয় কর্মশালার।
এতে বক্তব্য দেন সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. শহীদুল আমিন চৌধুরী এবং হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরি, চবির পরিচালক প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া। সভাপতিত্ব করেন চবিসাস সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল। সঞ্চালনায় ছিলেন চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চোধুরী।
ড. শহীদুল আমিন চৌধুরী বলেন, হালদা আমাদের জাতীয় সম্পদ। দশ বছর আগেও আমরা এটার গুরুত্ব বুঝিনি। কিন্তু যখন দেখা গেছে জাতীয় অর্থনীতিতে এটি বড় ভূমিকা রাখছে, তখন আমাদের টনক নড়েছে। প্রশাসনও এ ব্যাপারে সতর্ক হয়েছে। এ নদী রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আমরা আশা রাখি, একদিন এটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হবে।
প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা নিছক নদী নয়, প্রকৃতির অনন্য দান। এটি বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী যেখান থেকে মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। হালদা থেকে রুইসহ দেশের ৭০ শতাংশ কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়।
ডিম আহরণের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের যেকোনো একদিন মা মাছেরা নদীতে ডিম দিয়ে থাকে। নদীর যে স্থানে ডিম দেয় সেটাকে বলা হয় ‘কুম’। কুমের গভীরতা থাকে ৬০-৭০ ফুট। হালদায় প্রায় ২৪টা কুম রয়েছে। মা মাছেদের ডিম পাড়ার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় রয়েছে। সেগুলো হলো অমাবস্যা অথবা পূর্ণিমা, ভাটার আগ মুহূর্ত অথবা পূর্ণ ভাটা, পাহাড়ি ঢলের ঘোলা পানি, বৃষ্টি, ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও নদীর পানি ডিম পাড়ার উপযুক্ত হওয়া। এ সময় স্থানীয়দের মুখেও শোনা হয় ডিম আহরণের বর্ণনা। পরে মোবারকখীল হ্যাচারি পরিদর্শন করেন সবাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৫৯৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ পিএসসির
পরবর্তী নিবন্ধক্বণন’র ৩৫ বছর পূর্তির সূচনা অনুষ্ঠান ১ জানুয়ারি