রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান করে জাতীয় পার্টির নামেই কমিটি ঘোষণাকে পাত্তা দিচ্ছেন না জি এম কাদেরের নেতৃত্বে কমিটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, জি এম কাদেরের জাতীয় পার্টিই মূল জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির নামে দেশে পাঁচটি দলের কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় গতকাল শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মেলন করে রওশনের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটির গঠন চূড়ান্ত হয়, যার ঘোষণা আসে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি।
এর প্রতিক্রিয়ায় চুন্নু সাংবাদিকদেরকে বলেন, জাতীয় পার্টির নামে সম্মেলন যেটা হয়েছে এটা গঠনতন্ত্রবিরোধী। তারা ব্র্যাকেট বন্দি দল করতে পারে। তবে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে আমরাই মূল জাতীয় পার্টি। ওরা কী করল আমরা একে গুরুত্ব দিচ্ছি না। এই বিষয় নিয়ে কোনো কথাই আমরা বলতে চাই না। এটা ওদের ব্যাপার। খবর বিডিনিউজের।
২০১৫ সালে এরশাদের মৃত্যুর পরই দলের নেতৃত্ব নিয়ে রওশন ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এবারের জাতীয় নির্বাচনের আগে রওশনের কোনো অনুসারীকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এমনকি তার ছেলেও দলের প্রতীক পাননি। এই ক্ষোভে ভোটেই আসেননি তিনি। রওশনই সংসদে বিরোধীদলীয় প্রথম নেতা, যার দল ভোটে এলেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ভোট শেষে রওশনপন্থিদের দল থেকে একে একে বরখাস্ত করতে থাকেন জি এম কাদের। আর রওশন নিজেকে চেয়ারম্যান করে দেন সম্মেলনের ঘোষণা।
শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় সম্মেলন করে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রওশন ঘোষিত মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশিদ নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠিও দেন তিনি যাতে বলায় হয় জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে কমিশন তার এই চিঠিকে আমলে নেয়নি। জিএম কাদের সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হয়ে যান।
রওশনের নেতৃত্বে সম্মেলনের পর জাতীয় পার্টি ফের ব্র্যাকেটবন্দি হওয়ার পর চুন্নু বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সারাদেশের নেতা–কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে। এইচ এম এরশাদের গড়া এই দল। এর নেতা–কর্মীরাও সেভাবে এই পার্টির প্রতি এক রয়েছে।
সকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জাতীয় সম্মেলনে মহাসচিব হয়েছেন কাজী মো. মামুনুর রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা হয়েছেন সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান। কো–চেয়ারম্যান হয়েছেন সাইদুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সাদ এরশাদ, গোলাম সারোয়ার ও সুনীল শুভ রায়।