বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। এখন দেশের স্কুল গুলোতেও চর্চা হচ্ছে এই খেলাটি। বিশেষ করে গ্রামীন খেলাধুলা গুলো ফিরিয়ে আনতে সরকার যে বিশেষ উদ্যেগ নিয়েছে তাতে কাবাডি অন্যতম। কিন্তু দেশের মত চট্টগ্রামেও কাবাডি খাব বেশি উন্নতি করতে পারেনি। নিয়মিত লিগ হলেও খেলোয়াড় সৃষ্টি বা সংগ্রহ করার কাজটি করতে পারেনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা। নেই স্কুল পর্যায়ের কোন আয়োজন। সম্প্রতি সিজেকেএস গঠিত কাবাডি সাব কমিটিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রিজেন্সী স্পোর্টস ক্লাবের দিদারুল আলম মাসুমকে। আর সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইয়ং স্টার ব্লুজের জাহেদ হোসেনকে। এ দুজন চাইছেন কাবাডিটাকে আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে। অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি নতুন নতুন কিছু কর্মসুচিও নিতে চান তারা। যাতে জাতীয় খেলা কাবাডির উন্নতি করা যায়। কমিটির চেয়ারম্যান দিদারুল আলম মাসুম বলেন আমাদের এখানে নিয়মিত কাবাডি লিগ হয়। সেটা একটি ভাল দিক। আমরা সেটা অব্যাহত রাখতে চাই। তিনি বলেন কাবাডির জন্য খেলোয়াড় তৈরি করতে খুব বেশি পরিশ্রম করার তেমন দরকার নেই। কারণ গ্রামে গঞ্জে প্রচুর ছেলে এখন কাবাডি খেলে। তাদেরকে কেবল তুলে আনতে পারলেই অনেক খেলোয়াড় পাওয়া যাবে। আর স্কুল গুলোতেতো নিয়মিতই হচ্ছে কাবাডি। আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে একটু উদ্যেগ নেওয়া। আমরা চাইব সেটা করতে। তিনি বলেন অন্য খেলাধুলার পাশাপাশি কাবাডিতেও উন্নতি করতে হলে দরকার অর্থের। তাই আমরা চাইব একটি স্থায়ী স্পন্সর নিয়ে কিভাবে আরো বেশি খেলোয়াড় সৃষ্টি করা যায় সে কাজটি করতে। একটি প্রজন্মের পর আরেকটি প্রজন্ম আসবে সেটাই স্বাভাবিক। দশ বছর ধরে যারা খেলছেন তারা পরের দশ বছর খেলতে পারবে তেমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই একটা ব্যাচের পর আরেকটা ব্যাচ আমাদের তৈরি করতে হবে। আর সেটা করতে না পারলে কাবাডি কেন কোন খেলারই উন্নতি সম্ভব নয়। আগের কমিটিতে মাসুম ছিলেন কারাতের সম্পাদক। এবারে তিনি প্রমোশন পেয়েছেন বলে মনে করছেন। যেহেতু আমাকে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে তাই আমাকে সেভাবে কাজ করতে হবে। এদিকে কমিটির সম্পাদক জাহেদ হোসেন প্রথমবারের মত কোন অইভেন্টের সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন। তাই তার প্রথম দায়িত্বটাকে তিনি বেশ গুরুত্বের সাথে পালন করতে চান। তিনি জানিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে গতবছর যুব আইজিপি লীগে চট্টগ্রাম জেলা দল রানার আপ ও বিভাগীয় পর্যায়ে ডিআইজি রেঞ্জ লীগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। আমি এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই এবং ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য কাজ করে যাব। সিজেকেএস প্রতিবছর প্রিমিয়ার ডিভিশন এবং প্রথম বিভাগ কাবাডি লীগ আয়োজন করে থাকে। যেসব লীগে ঢাকার ন্যাশনাল প্লেয়াররা খেলে থাকেন। ফলে লীগ গুলো উপভোগ্য হয়ে ওঠে। এ বছরও সিজেকেস নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী লীগ আয়োজনের চেষ্টা করব আমরা। আমি নতুন প্লেয়ার সৃষ্টি করার লক্ষ্যে স্কুল পর্যায়ে লীগ অয়োজনের চেষ্টা করব। মহিলারা যেন কাবাডি খেলায় জাতীয় পর্যয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারে সিজেকেএস তত্ত্বাবধানে মহিলা কাবাডি লীগ আয়োজনেরও জন্য চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন কাবাডি সম্পাদক। একটি ইভেন্টের চেয়ারম্যান এবং সম্পাদকের চাওয়া যখন এক হয়ে যায় তখন সে ইভেন্ট উন্নতি না হওয়ার কারন দেখেননা মাসুম এবং জাহেদ দুজনই। তবে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে চান দুজন। কোন আনুষ্টানিকতা নয়, খেলার মান উন্নয়নকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন দুজন। এই কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে এস কে শামসুল আলম, তানভীর আহমেদ চৌধুরী, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, মোরশেদ আহমেদ এবং মোঃ শাহ আলমকে। তিনজন যুগ্ম সম্পাদক হলেন জাফর ইকবাল, আবু হাসনাত চৌধুরী এবং জাহিদুল হক। এছাড়া কমিটির সদস্যরা হলেন উসমান গনি রানা, লিটন বড়ুয়া, মোশারফ হোসেন লিটন, শাহজালাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, আবদুর রশিদ লোকমান, ইমতিয়াজ বাবলা, সেকান্দর আলি বাদশা এবং নুরুল হুদা তানভীর।