খাগড়াছড়িতে চিত্রকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন পাঠ। বঙ্গবন্ধু গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে বাঙালির অহংকারের ৬ দফা থেকে শুরু করে মুক্তির সংগ্রাম এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দেয়ালজুড়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু গ্যালারিতে শিল্পী আমিনুল ইসলামের রঙ তুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক শিল্পকর্ম।
এই গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে ৮টি চিত্রকর্ম। বাঙালির সাহস, সংগ্রাম, মাবনতা ও সম্প্রীতির চেতনার পংক্তিমালায় ফ্রেমবন্দি হয়েছেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ নায়ক।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ ফুটে উঠেছে এই অনন্য শিল্পকর্মে। গ্যালারিটি সাজানো হয়েছে কাঠের ফ্রেমে। গ্যালারিতে ১৯৬৬ সালের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাঙালির মুক্তির সনদ ‘ছয়দফা’র চিত্রপট শিল্পী রঙ তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় শুনানিতে হাজির হওয়ার চিত্রপট স্থান পেয়েছে গ্যালারিতে।
এই গ্যালারিতে ভারতের অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা মহাত্মা গান্ধী ও হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর সাথে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথাও স্থান পেয়েছে।
১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক মুহূর্তও বন্দি হয়েছে শিল্পীর সাদাকালো রঙের ছটায়।
এখানে স্বাধীন বাংলায় বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন এবং জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আলোকচিত্রও রয়েছে।
‘নয়ন সম্মুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই’ এমন পংক্তিমালায় পিতার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহমাখা রঙিন চিত্রকর্ম দেখে মুগ্ধ হবে দর্শনার্থীরা।
প্রতিদিন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সমাগম ঘটে। নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু গ্যালারি দেখে থমকে দাঁড়ায় দর্শনাথীরা।
এই ৮টি চিত্রকর্ম দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে। অনেকে আবার গ্যালারিতে সেলফি তুলে ফ্রেমবন্দি হচ্ছে।
গ্যালারিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশে সরকারিভাবে ম্যুরাল স্থাপিত হচ্ছে তবে আমরা ব্যতিক্রমী কিছু করতে চেয়েছি। তারই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু গ্যালারি। এখানে বাঙালির মুক্তির নায়ক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারবে।”