চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, ধূমপান বা তামাকজাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তামাকের কারণে মানুষ একদিকে মারাত্মক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, অন্যদিকে কমে যাচ্ছে আয়ুষ্কাল। এরপরও মানুষ সচেতন হয় না। জাতিকে সুস্থ–সবল রাখতে হলে অবশ্যই তামাক বর্জন করতে হবে। পাশাপাশি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থী ও নতুন প্রজন্মসহ সবাইকে তামাকের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে আয়োজিত বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার পূর্বে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে সর্বস্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিয়ে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আলোচনা সভায় সিভিল সার্জন বলেন, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদানের সময় তামাকের কুফল সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। তামাক ও তামাকজাতীয় দ্রব্য থেকে বিরত থাকতে শুধু শিক্ষার্থী নয়, সমাজের সকল শ্রেণি–পেশার মানুষকে সচেতন করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০৫ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের পর দেশে খাদ্য সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন– জমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গাও অনাবাদি রাখা যাবে না, চাষাবাদ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশে এখন ধান ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় ফসলাদি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ হাজার একর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। তামাকজাত পণ্যের চাহিদা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে তামাক চাষিদেরকে বিকল্প হিসেবে খাদ্যশস্য উৎপাদনে আগ্রহী হতে হবে। তাহলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভির সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফএম জাহিদুল ইসলাম, ডিএসএমও (টিবি) ডা. আবদুল্লাহ–হির রাফি অঝোর, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মারমা ও কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান মো. জাফর উল্লাহ। এছাড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী এসএম সাহেদুল ইসলাম, জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. হামিদ আলী, কাজল কান্তি পাল, কাজী মো. মাসুদুল আলম, টিটু কান্তি পাল, জাহেদুল ইসলাম, গীতাউশ্রী দাশ, গাজী মো. নূর হোসেন প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।