ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের কৃষিতে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। এতে কমবেশি ২৭ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়। বৃষ্টির কারণে আমন ধান, শীতকালীন সবজি বাদেও আলু, সরিষা, খেসারি, মরিচ, ফেলন চাষে এসব ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে কয়েকটি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শীতকালীন সবজি বাদেও আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যে চিত্র পেয়েছি তাতে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিক অংকে প্রায় ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি। আমনের ক্ষতি হয়েছে সোয়া দুই কোটি টাকার মতো। সব মিলিয়ে ১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কৃষকদের বীজ প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি বিভাগের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২ হাজার ১৪০ হেক্টর জমির আমন ধান, ৩ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমির সবজি, ৩২৫ হেক্টর জমির আলু, ৭৫ হেক্টর সরিষা, ১৯০ হেক্টর খেসারি, ৯৫ হেক্টর মরিচ এবং ১০৫ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। তন্মধ্যে ২০ হেক্টর সরিষা, ১০ হেক্টর করে খেসারি ও ফেলন সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮৮ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে ৮৫৫ মেট্রিক টন ধান, ১৪১৮৪ মেট্রিক টন সবজি, ৫৯৪ মেট্রিক টন আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৫শ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে সবচেয়ে বেশি সবজিতে ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা, আমন ধানে ২ কোটি ৩০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং এক কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার টাকার আলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।